ফরিদপুরে দু’দিন ধরে বিদ্যুৎসেবা বন্ধ থাকায় জনজীবন যেন অচল হয়ে পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিদ্যুৎ অফিস বলছে, জাতীয় গ্রেডের ব্রেকারে ত্রুটির কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।
তবে বিদ্যুতের গ্রেডের ব্রেকার শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে মেরামত করা হলেও সংযোগ দেওয়ার আগেই ফের রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সড়কে গাছ পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে একটানা বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় কারো বাসায় পানি নেই, ফ্রিজের জিনিসপত্রও নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া অটোরিকশা কিংবা ইজিবাইকে চার্জ দিতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। শিল্প ও উৎপাদনমুখী কলকারখানাও বন্ধ রয়েছে। এতে জেলার ব্যবসায়ীরা ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মোবাইলে চার্জ না থাকাসহ ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ রয়েছে।
আলফাডাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মো. এনায়েত হোসেন বলেন, গত দুইদিন ধরে একটানা বন্ধ বিদ্যুৎ সংযোগ। ফলে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে।
সালথা উপজেলা সদরের বাসিন্দা বিধান মন্ডল বলেন, দুই দিন বিদ্যুৎ না থাকায় বাসা-বাড়িতে পানি নেই, মোবাইলে চার্জ নেই, ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ। সবমিলিয়ে মানুষের চরম ভোগান্তির পাশাপাশি জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
বোয়ালমারী পৌর সদরের মৎস্য ব্যবসায়ী টুটুল রায় বলেন, দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকার প্রভাব এখন হাটবাজারেও পড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় বরফ কলগুলো বরফ উৎপাদন করতে পারেনি। ফলে জেলা ও উপজেলার মৎস্য ব্যবসায়ীরা মাছ বরফজাত করতে না পারায় নষ্ট হয়ে গেছে।
ফরিদপুর শহরের বাসিন্দা সেলিমুজ্জামান বলেন, বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ ছাড়া মানুষের জীবন অচল। দুইদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের যে কী ভোগান্তি তা বলে বোঝানোর মতো নয়।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (সেবা) এসএম রুবাইদ হোসেন বলেন, বিদ্যুতের জাতীয় গ্রেডের ব্রেকারে ত্রুটির কারণে ফরিদপুরে বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তবে গতকাল শনিবার রাতে ব্রেকার মেরামত করা হলেও রোববার সকালে ঝড়ে সড়কে গাছ পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগের সবাই কাজ করছেন গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দিতে। হয়তো রোববার সন্ধ্যা নাগাদ ধীরে ধীরে ফরিদপুরের সব স্থানে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।