হত্যাচেষ্টা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও শিক্ষার্থী নির্যাতনে জড়িত থাকার অভিযোগে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ৩৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসে ও হোস্টেল থেকে বহিষ্কার ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের (প্রস্তাবিত দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ) অধ্যক্ষ ডা. এ এফ এম নুরউল্লাহ সই করা এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন নিঝুম (২৫তম ব্যাচ), পিয়াস (২৫তম ব্যাচ), রাকিব (২৬তম ব্যাচ), জাকির (২৭তম ব্যাচ), আশিকুল (২৭তম ব্যাচ), জয় (২৭তম ব্যাচ), নয়ন (২৭তম ব্যাচ), সায়মন, (২৭তম ব্যাচ), শিবলি, (২৭তম ব্যাচ), সালমান (২৭তম ব্যাচ), দিদার (২৮তম ব্যাচ), ফারহান (২৮তম ব্যাচ), ইয়াকুব (২৮তম ব্যাচ), সানাউল্লাহ (২৮তম ব্যাচ), প্রিতম (২৮তম ব্যাচ), জবায়ের (২৮তম ব্যাচ), শরিফ (২৮তম ব্যাচ), তানভির (২৮তম ব্যাচ), অনিক (২৮তম ব্যাচ), সাইদ আরাফাত (২৮তম ব্যাচ), তূর্য (২৮তম ব্যাচ), রেদওয়ান সাকিব (২৮তম ব্যাচ), বাপ্পা (২৮তম ব্যাচ), সিদ্দিক (২৯তম ব্যাচ), অনিক (২৯তম ব্যাচ), আসাদ (২৯তম ব্যাচ), জয় শাহা (২৯তম ব্যাচ), রিফাত (২৯তম ব্যাচ), ইনাম (২৯তম ব্যাচ), আরাফাত (২৯তম ব্যাচ), আমীর (২৯তম ব্যাচ), হৃদয় চন্দ্র শীল (৩০তম ব্যাচ), দিহান (৩০তম ব্যাচ), নাজমুল (৩০তম ব্যাচ), নিবিড় (৩০তম ব্যাচ), ফজলে রাব্বী (২৭তম ব্যাচ) ,জীবন (২৬তম ব্যাচ) ও সাদমান সাকিব (২৯তম ব্যাচ)।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা হয়। সভায় হত্যাচেষ্টা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও শিক্ষার্থী নির্যাতনে জড়িত থাকার অপরাধে কলেজের ৩৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়। একইসঙ্গে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও স্থায়ী শাস্তির আদেশ না আসা পর্যন্ত সাময়িকভাবে ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. এ এফ এম নুরউল্লাহ বলেন, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাহাব আহমেদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে পর্যন্ত অভিযুক্তদের ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে হবে।