গাজীপুরের টঙ্গির তুরাগ নদের তীরে ফজরের নামাজের পরে বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ইজতেমার কার্যক্রম। বয়ান করছেন পাকিস্তানের এক শীর্ষ মুরব্বি। বিশ্ব মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহৎ এই জমায়েতে ইতোমধ্যে কয়েক লাখ মুসল্লি অংশ নিয়েছেন।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ফজরের নামাজের পর উর্দুতে বয়ান শুরু করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। বাংলায় তরজমা করছেন মাওলানা নুরুর রহমান। সকাল দশটা থেকে শুরু হবে তালিমী বয়ান।
এছাড়া জুমার নামাজ পরিচালনা করবেন মাওলানা জুবায়ের। আজ বাদ ফজর ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরুর কথা থাকলেও মানুষের উপস্তিতির কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধার পরেই শুরু হয়ে যায় ইজতেমা।
৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশ নিয়ে শুরু হয় প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের ইজতেমা। এবার ৭২টি দেশ থেকে প্রায় ২ হাজারেরও বেশি বিদেশি অতিথি এসেছেন। লাখো মানুষের এ সমাগমে টঙ্গীর তুরাগ তীরকে নিরাপত্তার চাদতে ঢেকেছে প্রশাসন।
দুই ধাপে ইজতেমার প্রথম পর্ব আজ ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এই ধাপে অংশ নেবেন ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশের মুসল্লিরা। এরপর আগামী ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা। এই ধাপে অংশ নেবেন ২২ জেলা ও ঢাকার অন্য অংশের মুসল্লিরা।
ইজতেমার প্রথম ধাপে অংশ নিচ্ছে গাজীপুর, নড়াইল, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, নীলফামারী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, খুলনা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, যশোর, মাগুরা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, চট্টগ্রাম, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা এবং ঢাকার ডেমরা, কাকরাইল, মিরপুর, ধামরাই, দোহার ও নবাবগঞ্জ এলাকার মুসল্লিরা।