২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিন দফা দাবি মেনে না নেওয়া হলে আগামী বুধবার (২৩ অক্টোবর) থেকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আবার আন্দোলনে নামবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী এই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুর রহমান এ কর্মসূচি ঘোষণা করে আজকের কর্মসূচি স্থগিত করেন। এ ঘোষণার পর থেকে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় ও সায়েন্স ল্যাব মোড়ের যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে।
দাবি তিনটি হলো, ১. সাত কলেজ নিয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার অভিপ্রায়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সংস্কার কমিটি গঠন করতে হবে; ২. সংস্কার কমিটি অনধিক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সাত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সাত কলেজের সমন্বয়ে শুধু একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার রূপরেখা প্রণয়ন করবে; ৩. সংস্কার কমিটি বর্তমান কাঠামো সচল রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে, যাতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সেশন জটিলতার কোনো ধরনের পরিবেশ তৈরি না হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত থাকতে চান না সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ জন্য আলাদা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আজ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করেন তাঁরা। এতে নীলক্ষেত ও আশপাশের রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল।
কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, তাঁরা আলাদা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় চান। ২০১৭ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। তবে এই সিদ্ধান্ত ছিল অপরিকল্পিত। ফলে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এই কলেজগুলো অধিভুক্ত করা হয়েছিল, সেটা বিগত সাত বছরেও অর্জন করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য তাঁরা আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত থাকতে চান না। দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপদেষ্টা, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বলে জানান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কারও কাছ থেকে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন।
রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. জুয়েল রানা বলেন, কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যেন না হয়, সেই চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কয়েকবার আলোচনা করেছে বলে জানান তিনি।
এডিসি আরও বলেন, ‘আমরা তাঁদের অনুরোধ করেছি যেন সাধারণ মানুষের কোনো ভোগান্তি না হয় ও অন্য কেউ আন্দোলনের সুযোগ নিতে না পারে।’