
এখন কেমন আছেন তামিম ইকবাল, সাভারের কেপিজে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং রিং লাগানোর পর এভারকেয়ার হাসপাতালে আসার পর দেশসেরা ওপেনারের শরীরের অবস্থা এখন কেমন? ভক্তরা জানতে চাচ্ছেন, দুদিনে কি তামিমের শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে নাকি একই রকম আছে কিংবা চিকিৎসকরাই বা কী বলছেন।
কৌতূহলী ক্রিকেট অনুরাগীদের জন্য নতুন খবর দিয়েছেন এভারকেয়ারের চিকিৎসকরা। আজ বিকেলে এভারকেয়ার হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা তামিমের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
সেখানে জানানো হয়েছে, এভারকেয়ার হাসপাতালে এখন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর সাহাবউদ্দীন তালুকদারের চিকিৎসায় আছেন তামিম। এর বাইরে ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। তারা তামিমকে খুঁটিয়ে দেখছেন। তার নিজের এবং পরিবারের ইতিহাসও জানছেন।
৩৬ বছর বয়সী তামিম মানতে পারছেন না, তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। দেশসেরা এমন অবস্থানের কারণেই তার পরিবারের ইতিহাসও টানতে হলো চিকিৎসকদের।
বলে রাখা ভালো, তামিমের পরিবারের হৃদরোগের ইতিহাস আছে। তার বাবা দেশবরেণ্য ক্রীড়াবিদ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খানের বড় ভাই প্রয়াত ইকবাল খানও হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। তামিমের বড় ভাই ও জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার নাফিস ইকবালেরও হৃদরোগ হয়েছিল। সেগুলো চিকিৎসকরা জেনেছেন। সেসব বিবেচনায় নিয়ে তামিমের দৈনন্দিন জীবন, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এবং সুনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রফেসর সাহাবুদ্দীন তালুকদারের অধীনে ভর্তি আছেন তামিম। তিনি সুস্থ আছেন। একটা মেডিকেল বোর্ড হয়েছে ৫ সদস্যের। যার নেতৃত্বে আছেন প্রফেসর সাহাবউদ্দীন তালুকদার। তারা একটি গাইডলাইন তৈরি করেছেন। তামিমকে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
এদিকে চিকিৎসকরা একটি বড় তথ্য দিয়েছেন। তা হলো- তামিম ধূমপান করতেন। তাকে আগামীতে ধূমপান না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তামিম প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের জানান, তিনি ধূমপান ছাড়া থাকতে পারবেন না। পরে চিকিৎসকরা যখন তাকে বারবার বুঝিয়ে বলেন, ধূমপান হৃদরোগীদের জন্য খুব খারাপ এবং পরিহারযোগ্য। তখন তামিম তা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান।
তারপর তামিম ভেপ (ইলেক্ট্রনিক সিগারেট) খেতে চেয়েছিলেন। চিকিৎসকরা তাকে জানান, ভেপেও নিকোটিন আছে। তাই সেটাও করা যাবে না।
প্রফেসর সাহাবউদ্দীন তালুকদার ছাড়া এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর আরিফ রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এবার তামিমকে ধূমপান বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। স্যারের (প্রফেসর সাহাবউদ্দীন তালুকদারের) তত্ত্বাবধানে চলতে হবে। তার পরামর্শ মেনে চলতে হবে।’
চিকিৎসকরা জানান, তামিম এখন মোটামুটি স্থিতিশীল। হয়তো কয়েকদিন পর বাসায় যেতে পারবেন।
তামিম ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন কি? যদি পারেন, তাহলে কত দিন পর?
এ প্রশ্নের জবাবে এভারকেয়ারের মেডিকেল ডিরেক্টর আরিফ রহমান এবং প্রফেসর সাহাবউদ্দীন তালুকদার জানান, তিন থেকে চার মাস পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বলা যাবে।