ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় প্রাইভেটকারে বাসের ধাক্কায় নিহত ৫ জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। তারা একই পরিবারের।
নিহতরা হলেন: রাজধানী জুরাইনের বাসিন্দা সোহান মিয়া, শিশুপুত্র ইমি, স্ত্রী অনামিকা আক্তার, শাশুড়ি আমেনা বেগম, শ্যালিকা অ্যানি আক্তার। সোহান মিয়া ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রাইভেটকার করে রাজধানী জুরাইন থেকে সোহান মিয়া স্ত্রী সন্তানসহ গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে মাওয়ামুখী লেন দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু ইমি নিহত হয়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে সোহান মিয়া, তার স্ত্রী অনামিকা আক্তার, শাশুড়ি আমেনা বেগম, শ্যালিকা অ্যানি আক্তার নিহত হন। এই ঘটনায় গুরুতর আহত চারজনকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম জানান, মাওয়াগামী প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে বেপারী পরিবহনের বেপরোয়া গতির বাসটি প্রচণ্ড গতিতে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকার এই দুর্ঘটনায় যানবাহনগুলো সরিয়ে নেয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ বাসটি আটক করেছে। সোহান মিয়া ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে গোপালগঞ্জ যাচ্ছিলেন। গত ৬ দিনে এক্সপ্রেসওয়েতে ৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন।