
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা পর পরই ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে। রাতভর দুদেশই একে অন্যের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে। দুপক্ষের বিমান হামলায় দুদেশেই বিভিন্ন স্থাপনায় বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা ফোনালাপের পর ট্রাম্পের দেওয়া ইউক্রেনে তাৎক্ষণিক ও পূর্ণ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কেবল ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোয় চলমান হামলা সাময়িকভাবে বন্ধ করতে সম্মত হয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি সৌদি আরবে এক বৈঠকে ট্রাম্পের প্রতিনিধি দল ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার এক মাসের পূর্ণ যুদ্ধবিরতির যে পরিকল্পনা করেছিল তাতে স্বাক্ষর করতে রাজি হননি পুতিন। তিনি বলেন, একটি শর্তেই পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা সম্ভব হতে পারে। আর তা হলো– ইউক্রেনকে বিদেশি সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।
যদিও ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা এর আগেও এই শর্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিন বছর ধরে চলমান এই সংঘাতের মধ্য দিয়ে রাশিয়া সম্প্রতি তাদের কুরস্ক অঞ্চলের কিছু এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে, যা ছয় মাস আগে ইউক্রেনীয় বাহিনীর দখলে চলে গিয়েছিল।
এদিকে গতকাল ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যকার ফোনালাপ নির্দেশ করছে যে এক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে যে অবস্থানে ছিল, এখন তারা তা থেকে কিছুটা সরে এসেছে। যদিও দুই নেতা একটি বিষয়ে রাজি হয়েছেন যে মধ্যপ্রাচ্যে দ্রুত নতুন শান্তি আলোচনা শুরু হবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, গতরাতের হামলায় বেসামরিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামি এলাকার একটি হাসপাতালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ৫৭টি ইউক্রেনীয় ড্রোন প্রতিহত করেছে। দক্ষিণ রাশিয়ার ক্রাসনোদার অঞ্চলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার কারণে একটি তেলের ডিপোতে আগুন লেগেছে।