ইরানের হ্যাকাররা রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার কিছু তথ্য চুরি করে ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন ব্যক্তিদের কাছে পাঠিয়েছিলেন।
স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই), সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি এবং ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের কার্যালয় এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত জুন মাসের শেষ থেকে জুলাই মাসের প্রথম দিকে ট্রাম্প শিবিরের এসব তথ্য চুরি করে কিছু অযাচিত ইমেইলের মাধ্যমে বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত কিছু ব্যক্তির কাছে পাঠানো হয়েছিল। এসব ইমেইল যারা পেয়েছিলেন তারা হ্যাকারদের উত্তর দিয়েছিলেন কিনা, সেই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
২১ জুলাই বাইডেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তখন থেকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস দলটির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা শুরু করেন। পরবর্তীতে তাঁকে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
রয়টার্স জানায়, এর আগেও ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তেহরান তখন তা অস্বীকার করেছিল।
বুধবারের নতুন দাবির পর নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ে ইরানের স্থায়ী মিশনের সঙ্গে রয়টার্সের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু মিশনের কর্মকর্তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গত আগস্ট মাসে মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানের হস্তক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। তখন বলা হয়েছিল, নভেম্বরের নির্বাচনের আগে ‘বিরোধ উসকে’ দিতে ও মার্কিন ইনস্টিটিউশনের আত্মবিশ্বাসকে দুর্বল করতে তৎপরতা চালাচ্ছে ইরান।
এফবিআই ও অন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দাবির বিষয়ে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেন, হ্যাকিংয়ের বিষয়টি এটাই প্রমাণ করে যে কমলা হ্যারিস ও জো বাইডেনকে সহায়তা করতে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছে ইরান। কারণ ইরানের কর্মকর্তারা জানেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (ইরানের ওপর) নিষেধাজ্ঞা কঠোর করবেন এবং (মধ্যপ্রাচ্যের) আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন।
বাইডেনের সহযোগীদের কাছে পাঠানো এসব ইমেইল নিয়ে কী করা হয়েছে, বাইডেন ও কমলার কাছে সেটার ব্যাখ্যা চেয়েছেন ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার মুখপাত্র লেভিট। তাঁর প্রশ্ন, তাঁরা কী জেনেছিলেন? তাঁরা কখন এসব জেনেছিলেন?
কমলার নির্বাচনী প্রচারণার মুখপাত্র মরগান ফিঙ্কেলস্টেইন জানান, হ্যাকিংয়ের বিষয়টি জানার পর ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রচারণা শিবির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেছে। তিনি বলেন, ‘(ডেমোক্রেটিক পার্টির) প্রচারণা শিবিরে সরাসরি কী পাঠানো হয়েছিল সে সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। (প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত) কিছু ব্যক্তির ব্যক্তিগত ইমেইল (আইডি) নিশানা করা হয়েছিল। যা দেখতে স্প্যামের (অযাচিত ইমেইল) মতো।’