শুরুতে সুবিধা করতে পারেননি ব্যাটাররা। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে তারা অলআউট হন অল্পতেই।
এরপর বোলাররাও আটকে রাখতে পারেননি ভারতের ব্যাটারদের ঝড়। অবধারিতভাবেই তাই ভাগ্যে জুটেছে বড় হার।
রোববার গোয়ালিয়রে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। শুরুতে ব্যাট করে ১২৭ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। পরে ওই রান ১১ ওভার ৫ বলেই তাড়া করে ফেলেছে ভারত।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিরে যান লিটন দাস। অর্শদীপ সিংয়ের বলে চার হাঁকিয়ে শুরু করেন তিনি। কিন্তু পরের বলেই তুলে মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান লিটন। উদ্বোধনী জুটিতে তার নতুন সঙ্গী পারভেজ হোসেন ইমনও বড় করতে পারেননি নিজের রান।
৯ বলে ৮ রান করে অর্শদীপ সিংয়ের বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়ে যান ইমন। এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে কিছুটা আশা দেখে বাংলাদেশ।
বরুণ চক্রবর্তীর এক ওভারে ১৫ রান নেন তারা দুজন। অবশ্য পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মায়াঙ্ক যাদব দিয়ে দেন মেডেন। ছয় ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান করে বাংলাদেশ।
পরের ওভারেই ১৭ বলে ১২ রান করে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন হৃদয়। ২ বলে ১ রান করে ফেরেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।
রিশাদ হোসেন পাঁচ বলের ইনিংসে হাঁকান একটি চার ও ছক্কা। কিন্তু বরুনের বলে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ দেন ১১ রান করে। এরপরের গল্পটা মেহেদী হাসান মিরাজের। তার সঙ্গী হয়ে ২৩ রানের জুটি গড়েছিলেন তাসকিন আহমেদ।
কিন্তু তিনি রান আউট হয়ে ফিরে যান। ৩২ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। ভারতের হয়ে ৩ ওভার ৫ বলে স্রেফ ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আর্শদীপ সিং। ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে তিন উইকেট পান বরুন চক্রবর্তী।
লক্ষ্যটা খুব বড় না হলেও দ্রুত শেষ করার তাড়া শুরু থেকেই ছিল ভারতের। যদিও অভিষেক শর্মার ঝড় থেমে যায় দ্রুত। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে তাকে সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট করেন তাওহীদ হৃদয়। ৭ বলে তখন অভিষেকের রান ১৬।
তার বিদায়ে ঝড় তো থামেইনি, বরং বেড়েছে। স্রেফ ২৮ বলে দলীয় অর্ধশত রান পূরণ করে ভারত। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই অবশ্য ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার বলে জাকের আলির হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৪ বলে ৩ ছক্কা ২ চারে ২৯ রান করেন তিনি।
অধিনায়কের বিদায়ের পর তার সঙ্গী সাঞ্জু স্যামসনও খুব বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। ১৯ বলে ২৯ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মিড অনে রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। তার বিদায়ের পর নিতিশ রেড্ডি ও হার্দিক পান্ডিয়া দলের হাল ধরেন।
৯ ওভার ৩ বলে দলীয় শতরান পূর্ণ হয় ভারতের। শেষ অবধি তাদের জয় পেতে ১২ ওভারও লাগেনি। ১৫ বলে ১৬ রানে নিতিশ ও ১৬ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন পান্ডিয়া। ৩ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে এক উইকেট পান মোস্তাফিজ।