
প্রথম চার ম্যাচ টানা জিতে নিজেদেরকে অপরাজেয় হিসেবেই প্রমাণ করে যাচ্ছিলো দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে, পঞ্চম ম্যাচে এসে আর এই অপরাজেয় যাত্রা ধরে রাখতে পারলো না, শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে মাত্র ১২ রানে হেরে গেলো দিল্লি।
দিল্লির অরুন জেটলি (সাবেক ফিরোজ শাহ কোটলা) স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে তোলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। জবাব দিতে নেমে ১ ওভার বাকি থাকতে ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায় দিল্লির ব্যাটাররা।
শেষ ১২ বলে দিল্লির প্রয়োজন ছিল ২৩ রান। ১৯তম ওভার বল করতে আসেন জসপ্রিত বুমরাহ। প্রথম বলে আশুতোষ শর্মা কোনো রান করতে পারেননি। পরের বলে রিভার্স স্কুপে বাউন্ডারি মেরে দেন আশুতোষ। পরের বলেও ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে।
এরপরই দারুণ নাটক জমে ওঠে। টানা তিন বলে তিন উইকেট পড়লো দিল্লির। তিনটি রানআউট। অর্থ্যাৎ রানআউটের হ্যাটট্রিক। ওভারের চতুর্থ বলে আশুতোষ শর্মা ১ রান নেয়ার পর দ্বিতীয় রান নিতে গিয়েই রানআউট হয়ে যান। এরপর কুলদিপ যাদবও একই কাণ্ড করলেন। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রানআউট হলেন।
ওভারের শেষ বলে বুমরাহকে মোকাবেলা করেন মোহিত শর্মা। এবার আর দ্বিতী রান নিতে গিয়ে নয়, প্রথম রান নিতে গিয়েছিলেন তিনি; কিন্তু মিচেল সান্তনারের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হলেন তিনি।
এ নিয়ে এবারের আইপিএলে মাত্র দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আর পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম হারের দেখা পেলো দিল্লি। ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে এখন দিল্লি। সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে শীর্ষে গুজরাট টাইটান্স। ৬ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৭ নম্বরে রয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
দিল্লির কোটলায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে মোটামুটি গতিতে রান তুলতে থাকে মুম্বাই। ১৮ রান করে আউট হন ওপেনার রোহিত শর্মা। আরেক ওপেনার রায়ান রিকেলটন ২৫ বলে করেন ৪১ রান। সুর্যকুমার যাদব ২৮ বলে করেন ৪০ রান।
সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন তিলক ভার্মা। ৩৩ বলে ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি। শেষদিকে নামান ধির ১৭ বলে করেন ৩৮ রান।
জবাব দিতে নেমে দিল্লি ক্যাপিটালস জয়ের পথেই ছিল। বিশেষ করে করুন নায়ার এবং অভিষেক পোড়েলের ব্যাটে বেশ ভালো অবস্থানেই ছিল স্বাগতিকরা। ৪০ বলে ৮৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন করুন নায়ার। ১২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৫টি ছক্কার মার মারেন তিনি। অভিষেক পোড়েল ২৫ বলে করেন ৩৩ রান। এছাড়া বাকি ব্যাটাররা দাঁড়াতে পারেনি মুম্বাইর বোলারদের সামনে।
করন শর্মা নেন ৩ উইকেট। ৩জন তো হলেন টানা রানআউট।