ফ্রান্সের জার্সিতে সর্বশেষ ২৫ জুন গোল করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। গেল ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বের খেলায় পোল্যান্ডের বিপক্ষে গোলটি করেছিলেন তিনি। এরপর ৫টি ম্যাচ খেললেও গোলের দেখা পাননি ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। যে কারণে সর্বশেষ উয়েফা নেশনস লিগে বেলজিয়ামের বিপক্ষে তাকে শুরুর একাদশেও রাখেননি ফ্রান্সের কোচ দেদিয়ের দেশম।
অন্যদিকে ব্রাজিলের জার্সিতে ৩৫ ম্যাচে মাত্র ৫ গোল করা ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুসকে নিয়েও চলছে সমালোচনা। তিনি কি ব্রাজিলের নাকি রিয়াল মাদ্রিদের, সেটি প্রশ্নেও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে সমর্থকরা। কারণ, জাতীয় দলে একেবারেই ভালো খেলছেন না ভিনি। অথচ রিয়ালের জার্সিতে ঠিকই জেগে ওঠেন তিনি।
গতকাল শনিবার রাতে রিয়ালের অ্যাওয়ে ম্যাচ দেখার পরও হয়তো ভিনিকে নিয়ে আবার সেই প্রশ্ন তুলছেন সমর্থকরা। রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের ২-০ গোলের জয়ে দুটি গোলেই ছিল ব্রাজিলিয়ান তারকার সংযুক্তি। একটি গোল পেনাল্টিতে নিজেই করেছেন ভিনিসিয়ুস। অন্যটিতে ফাউলের শিকার হয়ে পেনাল্টি শ্যুট এমবাপেকে করতে দিয়েছেন তিনি।
জাতীয় দলে গোলখরায় থাকা ভিনিসিয়ুস ও এমবাপে পেনাল্টিতে গোল করে রিয়ালকে জিতিয়েছেন। ৫৮ মিনিটে ভিনির একটি শট গোলবক্সের ভেতরে থাকা সোসিয়েদাদের মিডফিল্ডার সার্জিও গোমেজের হাতে লাগলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এরপর সফল স্পট কিক নেন ভিনিসিয়ুস। এতে অচলাবস্থা ভেঙে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল।
এরপর ৭৫ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর ফাউলের শিকার হন ভিনি। ভিএআর দেখে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিলে এমবাপেকে কিক নিতে দেন ব্রাজিল তারকা। এমবাপেও সফল হন। ফলে ২-০ গোলে জয় নিশ্চিত হয় রিয়ালের।
যদিও পেনাল্টি ছাড়াও অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করেছিলেন ভিনি ও এমবাপেরা। তবে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি।
৫ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে রিয়াল। আর ৪ ম্যাচের ৪টিতেই জিতে টেবিলের নেতৃত্ব দিচ্ছে বার্সেলোনা।