রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, শুবমান গিল, যশস্বী জয়সোয়াল, ঋষভ পন্ত, লোকেশ রাহুল…ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ সব সময়ই তারকাবহুল। এর যেকোনো একজনের উইকেট পাওয়াই বোলারদের জন্য আনন্দের। তবে তারকাকুল শিরোমণিও তো থাকেনই। ভারতের ব্যাটিং লাইনআপে সেই নামটি নিঃসন্দেহে কোহলি। তাঁকে আউট করতে পারলে যেকোনো বোলারেরই আনন্দে আকাশে ওড়া স্বাভাবিক।
কিন্তু হাসান মাহমুদের কথা শুনলে বিষয়টি অন্য রকমই মনে হবে। তাঁর কাছে টেস্ট ম্যাচে যেকোনো ব্যাটসম্যানের উইকেট পেলেই আনন্দ পাওয়া স্বাভাবিক। কোহলির উইকেট পেয়ে হাসানের আনন্দ তো হয়েছেই। কিন্তু তাঁর উদ্যাপনে খুব একটা আতিশয্য ছিল, সেটাও বলা যাবে না।
এটা তেমন উদ্যাপন ছিল না। আমার একটা সাধারণ প্রতিক্রিয়া। সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানকে আউট করায় খুশি ছিলাম। যে কারোরই খুশি হওয়া উচিত।
হাসান মাহমুদ, বাংলাদেশের পেসার
ভারতের প্রথম তিনটি উইকেটই নিয়েছেন হাসান। এই তিনজন যথাক্রমে রোহিত, গিল ও কোহলি। এরপর আরও একটি উইকেট নিয়েছেন তিনি আজ। সেটি পন্তের উইকেট। এঁদের মধ্যে কোহলির উইকেটটি বাড়তি আনন্দ দিয়েছে কি না, দিনের খেলা শেষের সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয় হাসানকে।
ভারতের শীর্ষ চার ব্যাটসম্যানকে আউট করা হাসান কোহলির উইকেট নেওয়ার অনুভূতি নিয়ে বলেছেন, ‘যেকোনো ব্যাটসম্যানের উইকেট নেওয়া আনন্দের বিষয়। তো খুব ভালো লাগছে। এটা তেমন উদ্যাপন ছিল না। আমার একটা সাধারণ প্রতিক্রিয়া। সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানকে আউট করায় খুশি ছিলাম। যে কারোরই খুশি হওয়া উচিত। যেটা বললাম, আমার পরিকল্পনা খুব সরল ছিল।
হাসান এরপর যোগ করেন, ‘টেস্ট ম্যাচে উইকেট পাওয়াই আনন্দদায়ক আমার কাছে। পাকিস্তানে ৫ উইকেট পেয়েছি, ওটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চেষ্টা করছি। নিজের সেরাটা দিয়ে দলের জন্য যতটুকু করতে পারি।’
পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে আসা টেস্ট সিরিজে ৮ উইকেট নিয়েছেন হাসান। রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পেয়েছেন ৫ উইকেট।