
হাবিবুর রহমান মুন্না।।
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পথচারী রোকেয়া আক্তার (২৭) বাসচাপায় প্রাণ হারিয়েছেন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রোকেয়া আক্তার কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার ডমুরিয়া চানপুর গ্রামের বাসিন্দা হানিফ মিয়ার স্ত্রী। পরিবারসূত্রে জানা গেছে, তিনি সকালে ব্যক্তিগত কাজে বাড়ি থেকে বের হয়ে মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। সেই সময় দ্রুতগতির একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহাসড়কে কোন ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় অনেক পথচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হন। রোকেয়া আক্তারও রাস্তা পার হওয়ার সময় চট্টগ্রামমুখী দ্রুতগতির তিশা পরিবহনের একটি বাস তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। ধাক্কায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইকবাল বাহার মজুমদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “রোকেয়া আক্তার মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগামী বাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। দুর্ঘটনার পর তিশা পরিবহনের বাসটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছেন। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও বলেন, “নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোতে ফুটওভার ব্রিজের অভাব এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। রোকেয়া আক্তারের মৃত্যু সেই চিত্রকেই আবারও সামনে এনেছে।
এদিকে, মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই এ দুর্ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন।