
আগের লেগে ২-০ গোলে হারলেও ফাইনালের স্বপ্ন জিইয়ে ছিল। ফিরতি লেগটা যে ছিল ঘরের মাঠে। কিন্তু নিজেদের মাঠেও পারলো না লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামি। হেরে গেলো ৩-১ ব্যবধানে। যে হারে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় হয়ে গেলো মেসিদের।
মেসিদের দুই লেগে হারিয়ে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে কানাডার ক্লাব ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ব্রায়ান হোয়াইট ও পেদ্রো ভিতে মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে গোল করে ইন্টার মিয়ামির পরাজয় নিশ্চিত করে দেন।
প্রথম লেগে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে ম্যাচে নেমেছিল লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। সেমিফাইনালে এমন পরিস্থিতি থেকে ফিরে আসার নজির কনকাকাফের ইতিহাসে নেই, আর বুধবার সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিই হলো। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে জুন ১ তারিখে অনুষ্ঠেয় ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে হোয়াইটক্যাপস।
অথচ ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল মিয়ামিই। নবম মিনিটে লুইস সুয়ারেজের পাস থেকে গোল করেন জর্ডি আলবা। কিন্তু এরপর আর কিছু করতে পারেনি ফ্লোরিডার ক্লাবটি। টানা চতুর্থ ম্যাচ গোলশূন্য থাকলেন মেসি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে ফিরে আসে হোয়াইটক্যাপস। ৫১ মিনিটে সেবাস্টিয়ান বেরহাল্টারের অ্যাসিস্টে গোল করেন হোয়াইট। দুই মিনিট পর পেদ্রো ভিতে গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। এরপর ৭১ মিনিটে বক্সের মাঝখান থেকে দুর্দান্ত শটে নিজেই দলের তৃতীয় গোলটি করেন বেরহাল্টার।
সেমিফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে পাঁচটি গোলেই জড়িত ছিলেন বেরহাল্টার-প্রথম লেগে এক গোল, দ্বিতীয় লেগে দুটি অ্যাসিস্ট ও এক গোল। তবে তিনি ফাইনালে খেলতে পারবেন না, কারণ প্রথমার্ধে মিয়ামির তাদেও আলেন্দেকে ফাউল করে একটি হলুদ কার্ড দেখেন, যা ছিল তার টুর্নামেন্টে দ্বিতীয়।