উত্তর গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের সবশেষ হামলায় দেড় শতাধিক লোকের প্রাণ গেছে। গাজায় প্রথমে ৯৩ জন নিহত হওয়ার কথা জানানো হলেও পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০৯ জনে।
গাজা সরকারের তথ্য দপ্তর জানায়, মঙ্গলবার উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলি হামলার শিকার হয় পাঁচতলা একটি ভবন। এটি বাস্তুচ্যুতদের থাকার জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
লেবাননের পূর্বাঞ্চলের বেকা উপত্যকায় সোমবার রাতভর ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হন।
গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় মানবেতর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে উত্তর গাজার পরিস্থিতি বেশ খারাপ। চলতি অক্টোবরের শুরুর দিকে ওই এলাকায় ইসরায়েল অভিযান শুরু করে।
উত্তর গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এবং সেখানকার পরিস্থিতি অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে কাতারে পুনরায় শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনা থেকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির আশা নেই।
এর সঙ্গে ইসরায়েল জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। এটি গাজার ২৩ লাখ লোকের মূল ভরসাস্থল।
গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ বেইত লাহিয়ায় হামলার বীভৎস দৃশ্য সম্পর্কে জানাচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরও মরদেহ বের করা হচ্ছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে।
কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়া বলেন, হামলার পর দেড় শতাধিক হতাহত লোক হাসপাতালে এসেছেন। আহত অনেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকার কারণে মারা যেতে পারেন বলে তিনি সতর্ক করেন।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালের কয়েক ডজন চিকিৎসাকর্মীকে আটক করে। ফলে সেখানে মাত্র তিনজন চিকিৎসকই অবশিষ্ট রয়েছেন।
এদিকে লেবাননের পূর্ব দিকে বেকা উপত্যকায় ইসরায়েলের রাতভর হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫৮ জন। দেশটির জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এমনটি জানায়।