ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে মুহুর্মুহু রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ইসরায়েলি হামলায় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটার পরপরই এই হামলা চালিয়েছে ইরান-সমর্থিত এই সশস্ত্র গোষ্ঠী।
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে শতাধিক মানুষকে হত্যার প্রতিশোধে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে কয়েক ডজন রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি ও অস্ত্রাগারকে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট দিয়ে লক্ষ্য করা হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) পৃথক এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল লক্ষ্য করে লেবাননের ভূখণ্ড থেকে কমপক্ষে ৩৫টি রকেট ছোড়া হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি রকেটের হামলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তবে হিজবুল্লাহর হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য জানায়নি আইডিএফ। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, গালিলির নিম্নাঞ্চলে রকেটের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি সামান্য আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে কয়েকটি রকেটে গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করার দাবি করেছে আইডিএফ। লেবানন থেকে ছোড়া কয়েকটি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র সীমান্ত লাগোয়া ইসরায়েলের আমিয়া সম্প্রদায় অধ্যষিত এলাকার ফাঁকা স্থানে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর শত শত বিমান হামলায় ১০০ জন নিহত ও অন্তত ৪০০ মানুষ আহত হওয়ার পর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ব্যাপক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। লোকজনকে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর বৈরুতের রাস্তায় মানুষের ব্যাপক ঢল ও যানজট তৈরি হয়েছে।
এদিকে, দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর হামলা এখনো চলছে। পরে ইসরায়েলি সীমান্ত লাগোয়া লেবাননের হামরা জেলাসহ বৈরুতের আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। লোকজনকে বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে।
বৈরুত ও হামরা জেলায় লেবাননের তথ্য মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এসব এলাকায় হিজবুল্লাহর শক্তিশালী ঘাঁটি নেই বলে জানিয়েছে বিবিসি।