ভারতের উড়িষ্যায় থানার ভেতর একদল পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে এক নারীকে শারীরিক ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে।
গত সপ্তাহে একজন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা ও তার বাগদত্তার তোলা এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর তিন নারী কর্মীসহ চার পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
উড়িষ্যার রাজধানী ভুবনেশ্বরে একটি রেস্তোরাঁ চালান ভুক্তভোগী আইনে স্নাতক ওই নারী।
১৫ সেপ্টেম্বর সকালে পুলিশ তার ওপর নির্যাতন চালায় উল্লেখ করে ঘটনার বিবরণে তিনি জানান, রাস্তায় একদল লোক তাদের উত্যক্ত করছিল। রাত একটা নাগাদ রেস্তোরাঁ বন্ধ করার পর তিনি ও সেই সেনা কর্মকর্তা ভরতপুর থানায় যান অভিযোগ দায়ের করতে। অভিযুক্তদের ধরতে দ্রুত পুলিশের টহলরত গাড়িকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানান তিনি। কিন্তু অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ।
তিনি বলেন, অভিযোগ আমলে না নিয়ে তারা আমাদের গালিগালাজ করতে শুরু করে। যখন জানাই আমি আইনে স্নাতক এবং আমার অধিকার জানি, তখন আরও রেগে যায় তারা। আমি আপত্তি জানালে দু’জন নারী পুলিশ আমার চুল ধরে টানতে থাকে এবং মারধর শুরু করে। আমি বারবার তাদের থামার জন্য অনুরোধ করতে থাকি। কিন্তু তারা আমাকে করিডোর দিয়ে টেনে নিয়ে যায় এবং তাদের মধ্যে একজন আমাকে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। আমি পাল্টা জবাব দিলে তারা আমার হাত-পা বেঁধে ঘরে আটকে রাখে।
পুলিশের অভিযোগ ছিল, ওই নারী একজন নারী পুলিশ কর্মীকে চড় মেরেছিলেন এবং অন্য এক অফিসারকে কামড়ে দিয়েছিলেন।
এই ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং আদালতে তোলা হলে ম্যাজিস্ট্রেট তার বেল নাকচ করে দেন। কিন্তু ঘটনার তিন দিন পর উচ্চ আদালত ওই নারীকে জামিনে মুক্তি দেয় এবং পুলিশ ও নিম্ন আদালতের সমালোচনা করে। খবর বিবিসি বাংলা
ভারতীয় সেনাবাহিনী ওড়িশা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে একটা চিঠিও পাঠিয়েছে যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, একজন কর্মরত অফিসারকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই প্রায় ১৪ ঘণ্টা হেফাজতে রাখা হয়েছিল এবং গুরুতর ঘটনার কারণে.. তার সম্মানহানি হয়েছে।
ওড়িশা সরকার জানিয়েছে তারা ‘ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সম্মান করে’ এবং ‘নারীদের মর্যাদা, সুরক্ষা এবং অধিকারের বিষয়ে উদ্বিগ্ন’।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশকে এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি ৬০ দিনের মধ্যে তার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবেন।