ইরানে ইসরায়েলি হামলায় দুই সেনা নিহত হয়েছেন। ইরানের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) ভোরের এই হামলায় সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরানের প্রায় ২০টি স্থাপনায় হামলা চালায়। এগুলোর মধ্যে ইলাম, খুজেস্তান ও তেহরানের সামরিক ঘাঁটিগুলো উল্লেখযোগ্য। ইরানি সামরিক বাহিনী হামলাটি সামরিক স্থাপনায় চালানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। তবে এতে সীমিত পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।
ইসরায়েল এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ব্যাপারে ইরানকে সতর্ক করে দিয়েছে। দেশটি বলেছে, ইরান পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করলে তারা আবার হামলা করতে বাধ্য হবে এবং তাদের নিশানায় ইরানের আরও লক্ষ্যবস্তু রয়েছে, যেগুলোতে আঘাত হানা হতে পারে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক মুখপাত্র বলেছেন, ওয়াশিংটন ইসরায়েলের এই হামলার ব্যাপারে অবগত ছিল, তবে এতে নিজেরা অংশ নেয়নি। এটিকে ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ বলে বর্ণনা করেছে ওয়াশিংটন। পেন্টাগনও ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি তাদের ‘অটল প্রতিশ্রুতি’ পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এরই মধ্যে ইসরায়েলের এই আক্রমণের নিন্দা জানিয়েছে মালয়েশিয়া, সৌদি আরব এবং ওমান। সৌদি আরব বলেছে, এটি একটি দেশের সার্বভৌমত্ব, আন্তর্জাতিক আইন ও রীতির লঙ্ঘন।
সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই অঞ্চলে ধারাবাহিক উত্তেজনার বিরোধিতা করে রিয়াদ। অঞ্চলটির মানুষের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করে এমন সংঘাতও চায় না সৌদি আরব। সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম ও উত্তেজনা কমানোরও আহ্বান জানিয়েছে ম্যধপ্রাচ্যের দেশটি।
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে মালয়েশিয়াও। এই হামলাকে সুস্পষ্ট আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করেছে দেশটি।
ইসরায়েলি হামলার পর সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য প্লেন চলাচল স্থগিত করেছিল ইরান। পরবর্তীতে সব ফ্লাইট ফের চালু করেছে তারা।