ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলাকে সমর্থন করবেন না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ইরান প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এর প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েল ইরানে হামলা চালাতে পারে। তবে সেটা যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হয় তবে তার পক্ষে নন বাইডেন।
গত মঙ্গলবার ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। এর পর থেকেই ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। তবে ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ইরানের ছোড়া বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে ইরান বলছে, হামাসের রাজনৈতিক শাখার নেতা ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইরানের বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নিলফোরোশানকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে তারা ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে।
এছাড়া লেবাননে ইসরায়েলের স্থল অভিযানের কারণেও ইরান ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, তারা সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর ‘সন্ত্রাসী স্থাপনায়’ অভিযান চালাচ্ছে।
সহিংসতা বন্ধে বার বার আহ্বান জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে বিশেষ করে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। যদিও এই প্রচেষ্টার কোনো ফলাফল এখনও চোখে পড়েনি এবং সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। বরং দিন দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।
গাজায় এক বছর ধরে অভিযানের নামে তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েল। এর মধ্যেই লেবাননেও গাজার মতো আরেকটি যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি করছে তারা। ফলে পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই নতুন করে অস্থিরতা শুরু হয়েছে।
বুধবার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে নিয়ে নর্থ ক্যারোলিনা পরিদর্শনে যান বাইডেন। ওই অঙ্গরাজ্যে হ্যারিকেন হেলেনের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সে সময় সাংবাদিকরা বাইডেনের কাছে জানতে চান যে, ইসরায়েল যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় আপনি কি সেটা সমর্থন করবেন? এর জবাবে বাইডেন বলেন, তিনি সমর্থন করবেন না। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েল কি করতে চায় সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।