
ইউক্রেনে তিনদিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) তিনি এই ঘোষণা দেন। তবে এখন থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না। এটি কার্যকর থাকবে আগামী মাসের তিনদিন। এর আগে গত সপ্তাহে ইস্টার সানডে উপলক্ষে ইউক্রেনে ৩০ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও এর মিত্রদের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন পুতিন। আগামী ৮, ৯ ও ১০ মে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। ইউক্রেনকেও এই বিরতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে ক্রেমলিন।
ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেন যদি এই যুদ্ধবিরতি মেনে না চলে, তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে রুশ বাহিনী। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি ইউক্রেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মানবিক বিবেচনার ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন পুতিন। এতে বলা হয়, রাশিয়া মনে করে, ইউক্রেন এটি মেনে চলবে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করলে রুশ সশস্ত্র বাহিনী পর্যাপ্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। রাশিয়া আবারও জানাচ্ছে যে, পূর্বশর্ত ছাড়াই তারা শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। এর লক্ষ্য ইউক্রেনীয় সংকটের মূল কারণগুলো দূর করা এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে গঠনমূলক যোগাযোগ করা।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরই মধ্যে ইউক্রেনের বেশকিছু এলাকা দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। চলতি বছরে জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর এই যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এখনো কোনো সমাধান আসেনি।