মুলতানে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৬৬ রানে থেমেছে পাকিস্তান। এরপর ব্যাট করতে নেমে ‘বাজবল’ খেলে স্বাগতিকদের জবাব দিচ্ছিলো ইংল্যান্ড। টেস্ট ফরম্যাট হলেও শুরুর দিকে ইংলিশরা খেলেছে অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে। ৪১ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে তুলে ফেলেছিল ২১০ রান।
শেষ সেশনে এসে হঠাৎ পাকিস্তানের ঘূর্ণিতে তালগোল পাকিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। ১৪ রানের মধ্যে ৪ ব্যাটার ফিরিয়ে ইংলিশদের চেপে ধরে পাকিস্তান। অবশেষে ৬ উইকেটে ২৩৯ রান করে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে ইংল্যান্ড। উইকেটে আছেন জেমি স্মিথ (১২ রানে) ও ব্রাইডন কার্স (২ রানে)। সফরকারীরা এখনো পিছিয়ে ১২৭ রানে।
বুধবার মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৩ রান তোলে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জ্যাক ক্রাউলি ও বেন ডাকেট। ৩৭ বলে ২৭ রান করে আউট হন ক্রাউলি। নোমান আলির ঘূর্ণিতে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ হন ইংলিশ ওপেনার। সাজিদ খানের ঘূর্ণিতে বোল্ড হওয়ার আগে অলি পোপ করেন ৩৭ বলে ২৯ রান।
১২০ বলে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকান ডাকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি বাঁহাতি ইংলিশ ব্যাটারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। একইসঙ্গে সবচেয়ে ধীরগতিরও। এর আগে ভারতের বিপক্ষে ৮৮ বলে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০৫ বলে ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৬ বলে টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন মারকুটে ডাকেট।
দলীয় ২১১ রানে সাজিদ খানের ঘূর্ণিতে জো রুট (৫৪ বলে ৩৪) বোল্ড হলে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপে শুরু হয় ভাঙন। এক ওভার পরেই সেঞ্চুরি করা ডাকেটকেও (১৬ চারে ১২৯ বলে ১১৪) তুলে নেন সাজিদ। ওই ওভারেই নতুন ব্যাটার হ্যারি ব্রুককেও (৯ বলে ৯) বোল্ড করেন ডানহাতি পাকিস্তান স্পিনার।
পরের ওভারে বেন স্টোকসকে ফেরান নোমান আলি। বাঁহাতি স্পিনারের বলে শর্টে আব্দুল্লাহ শফিকের হাতে ক্যাচ হওয়ার আগে মাত্র ১ রান করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
এর আগে ৫ উইকেটে ২৫৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। স্বাগতিকদের হয়ে আগের দিন সেঞ্চুরি করেন কামরান গুলাম। আর দ্বিতীয় দিনে ৪১ রান করে আউট হন রিজওয়ান। আমের জামাল ৩৭ ও সালমান আলি আগা করেন ৩১ রান।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৪ উইকেট নেন জ্যাক লিচ। পাকিস্তানের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন সাজিদ খান।