শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জিরাবো এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে লুসাকা গ্রুপের কারখানার শ্রমিকরা। পরে তাদের সঙ্গে মণ্ডল গ্রুপ ও ম্যাংগো টেক্স গার্মেন্টসের শ্রমিকরাও যোগ দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকরা জানান, শনিবার সকালে লুসাকা গ্রুপে আন্দোলন শুরু হলে পরে মণ্ডল নীটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকরাও জিরাবো এলাকায় আশুলিয়ার টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা আশপাশের বিভিন্ন কারখানার সামনে গিয়ে সহকর্মীদের ডাকাডাকি করে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে ওই এলাকার অন্তত ১৬টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
এদের মধ্যে মণ্ডল গ্রুপের শ্রমিকরা কয়েকদিন ধরে বেতন ২২ হাজার টাকা করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। পরে তাদের সঙ্গে আরও কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা যুক্ত হয়ে আন্দোলনে নামেন।
আন্দোলনরত লুসাকা গ্রুপের বেক নীট লিমিটেডের এক শ্রমিক বলেন, ‘গত ৯ সেপ্টেম্বর মালিকপক্ষ কারখানার ২৭ শ্রমিকের নামে ও অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরে ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শ্রমিকরা আন্দোলন করলে গত বৃহস্পতিবার কারখানা খুলে দেয়া হয়। এ সময় মালিকপক্ষ জানায়, তারা আমাদের কাছে মামলা প্রত্যাহার করে কপি হাতে হাতে দিয়ে দেবে। কিন্তু পরবর্তীতে তা আর দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনার পর শনিবার সকালে কারখানায় এসে দেখি, মালিকপক্ষ শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে। পরে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে আশপাশের কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের বের করে সড়কে অবস্থান নিয়ে মামলা প্রত্যাহারসহ বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।’
শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, ‘শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় আজও পুরোদমে উৎপাদন চলছে। তবে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় বেতন বৃদ্ধির দাবিতে মণ্ডল গ্রুপের শ্রমিকরা জিরাবো এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। আমরা বুঝিয়ে তাদের সরিয়ে দিলে সড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এছাড়া আজ শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় ১০টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। আরও ৬টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
তবে শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।