রাত পোহালেই ভারতসহ পশ্চিমবঙ্গজুড়ে উদযাপন করা হবে আলোর উৎসব দীপাবলি বা ধনতেরাস। এই উৎসবে ভেসে যাবে গ্রাম, শহর থেকে কল্লোলিনী তিলোত্তমার রাজপথ। বছরের এই দিনটিতে কলকাতাজুড়ে আতশবাজি থেকে মোমবাতি, প্রদীপ, টুনি বাল্বসহ হরেকরকম নিয়ন আলোয় ঘর সাজায় মানুষ।
কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যজুড়েই রাস্তা-ঘাট সেজে ওঠে আলোর পসরায়। এরই মধ্যে সেইসব জিনিসপত্র কেনা শেষ করেছেন ক্রেতারা।
উৎসবমুখর দিনটিতে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে বাড়িতে, পাড়ার ক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে কালী পূজা। তার আগেই ঝলমলে আলোয় সাজানো হচ্ছে প্রতিটি ঘরবাড়ি। আলোর চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে বাড়ির ছাদ থেকে রাস্তা, পাড়ার অলি-গলি।
দীপাবলি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম উৎসবগুলোর মধ্যে একটি। এই দিনে প্রত্যেক পরিবার মিষ্টি এবং সুস্বাদু খাবার তৈরি করে। প্রতিটি বাড়ির বারান্দায় আঁকা হয় রঙ্গোলির নকশা।
এদিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কালী পূজা করা হয়, আবার অনেকেই এই দিনে দেবী লক্ষ্মীর পূজা করেন।
উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা শান্তনু আচার্য বলেন, দীপাবলির দিনে আমরা বাড়িতে লক্ষ্মীপূজা করি, যাকে আমরা অলক্ষীতারণ বলে থাকি। সন্ধ্যা হলেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে আতশবাজি পোড়ানো এবং মিষ্টিমুখও করি। পশ্চিমবঙ্গজুড়ে আমরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই আলোর উৎসব উদযাপন করি। কারণ, ধর্ম যার যার উৎসব সবার।
শান্তনু আরও জানান, এদিন আমরা পরমপিতার কাছে প্রার্থনা করি, এই অশান্ত পৃথিবীতে যাতে সব ধর্মের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকতে পারে।
বাঙালিদের মধ্যে খুব একটা প্রচলিত না হলেও কালীপূজার পরের দিন অনেক জায়গায় গোবর্ধন পর্বত পূজা হিসেবে পালিত হয়।