যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে এরই মধ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরই মধ্যে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন মোদী। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমার বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঐতিহাসিক নির্বাচনী জয়ের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
‘আপনার সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে আমি ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক ও কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে আগ্রহী। আসুন আমরা একসঙ্গে আমাদের জনগণের উন্নয়নের জন্য এবং বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করি।’
এদিকে, ট্রাম্পকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা। বিশেষ করে যাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এমন নেতারা আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, এটা এক ‘ঐতিহাসিক শ্রেষ্ঠ প্রত্যাবর্তন’। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ প্রত্যাবর্তনের জন্য অভিনন্দন! হোয়াইট হাউজে আপনার ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন আমেরিকার জন্য একটি নতুন সূচনা। তিনি ইসরায়েল ও আমেরিকার মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি একে বড় ধরনের জয় বলেও উল্লেখ করেছেন।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানও একই ধরনের বিবৃতি দিয়েছেন। ট্রাম্পের জয়কে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির ইতিহাসে বড় ধরনের প্রত্যাবর্তন বলে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বের জন্য এই জয় প্রয়োজন ছিল।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টার্মার বলেছেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী হয়ে আছেন। তিনি ট্রাম্পের এই জয়কে ঐতিহাসিক রাজনৈতিক জয় বলে উল্লেখ করেছেন।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট পেনসিলভেনিয়াতেও জয় পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই রাজ্যের ১৯টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে মোট ২৬৭টি ভোট নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প, যা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে তার জয়কে বেশ এগিয়ে দিয়েছে।
এছাড়া নেভাদা, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, মিশিগান, মিনেসোটা, আলাস্কায়ও এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে গত নির্বাচনে সুবিধা করতে না পারলেও এবার দারুণভাবে ‘কামব্যাক’ করেছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
ফলে দ্বিতীয় বারের মতো হোয়াইট হাউজের দখল নিতে ট্রাম্পের দরকার আর মাত্র কয়েকটি ইলেকটোরাল ভোট। কিন্তু সেই মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য যেন আর অপেক্ষা করতে পারছেন রিপাবলিকান সমর্থকরা। এরই মধ্যে রাস্তায় নেমে উল্লাস শুরু করেছেন তারা।