
মালয়েশিয়ার কেলানতান রাজ্যের কোতা বারুর কেতেরহের সৈয়দ কুনিং রোডের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩৫ জন অবৈধ অভিবাসী এবং দুই মানব পাচারকারীকে আটক করেছে দেশটির জেনারেল অপারেশন ফোর্স (পিজিএ)। আটকদের মধ্যে পাঁচজন নারীও রয়েছেন।
পিজিএ’র ব্রিগেড কমান্ডার নিক রস আজহান আব হামিদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা ওই বাড়িতে অভিযান চালান। বাড়িটির সামনে দুটি গাড়িতে থাকা দুই স্থানীয় ব্যক্তিকেও আটক করা হয়।
পরে তল্লাশি চালিয়ে ১১ জন বাংলাদেশি পুরুষ এবং মিয়ানমারের ২৪ জনকে আটক করা হয়।
আজহান নিক আব হামিদ জানান, আটকদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি পুরুষ এবং মিয়ানমারের একজন পুরুষের পাসপোর্টে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের বৈধ সিল ছিল না। বাকিদের কাছেও কোনো বৈধ পরিচয়পত্র ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, এদের সবাইকে অবৈধ পথে মালয়েশিয়ায় পাচার করা হয়েছে।
আটক দুই স্থানীয় পাচারকারীর বয়স ৩১ ও ৫৭ বছর। প্রাথমিক পরীক্ষায় এক পাচারকারীর মাদক পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে।
একইদিনে ভোর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে স্থানীয় তানাহ মেরাহর কাম্পুং বাতু গাজাহতে আরেকটি অভিযানে একটি লরিসহ ১২৬টি ছাগল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ছাগল ও লরির মূল্য আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ ২১ হাজার রিঙ্গিত। ধারণা করা হচ্ছে, ছাগলগুলো থাইল্যান্ড থেকে অবৈধভাবে আনা হয়েছিল।
অভিযানে লরির ৩২ বছর বয়সি চালককে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১৯৫৩ সালের প্রাণী আইনের ধারা ৩৬(১) অনুযায়ী তদন্ত চলছে।
আটককৃত অভিবাসীদের অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(১)(সি)-এর অধীনে আটক করা হয়েছে। পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই স্থানীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানব পাচার এবং অবৈধ অভিবাসী পাচারবিরোধী আইন ২০০৭-এর অধীনে তদন্ত করা হচ্ছে।