অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহিংসতায় বিজিবি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪১ জন। তাঁদের মধ্যে ১৯ জন বিজিবি সদস্য এবং বাকি ২২ জন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। তাঁদের বিশ্বমানের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর পিলখানা সদর দপ্তরে বর্ডার গার্ড হাসপাতালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহত বিজিবি সদস্য ও ছাত্র-জনতাকে দেখতে বিজিবি হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি।
বিজিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তাঁদের চিকিৎসার খোঁজখবরও নেন। পরে আহতদের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিজিবি মহাপরিচালক আমাকে বলেছেন, আরও কয়েকজন রোগীকে এ হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হবে। বিজিবি হাসপাতালের পরিবেশ যেমন সুন্দর, তেমনি চিকিৎসার ব্যবস্থাও ভালো। এখানে চিকিৎসক যাঁরা আছেন তাঁরা খুবই নামিদামি চিকিৎসক।’
সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা হাসপাতালে কম যাবেন। এতে ইনফেকশন হতে পারে। ইনফেকশন ভিজিটরের মাধ্যমে ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি থাকে। রোগী থেকে আপনারা দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। আপনারা দোয়া করবেন। আর যদি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে কোনো সাহায্য–সহযোগিতা করতে পারেন, সেটাও বড় ধরনের উপকার।’
বিজিবি জানিয়েছে, কোটা আন্দোলন এবং সরকার পতনের আন্দোলন ঘিরে বাহিনীর তিন সদস্য নিহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে র্যাবে কর্মরত ছিলেন দুজন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১৩০ জন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত ১৫ জনকে বর্ডার গার্ড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে চারজন বিজিবি সদস্য চিকিৎসাধীন।
বিজিবি সদস্য ছাড়াও বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ ও বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ১৯ জন শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশার আহত মানুষ এ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর আগে আরও তিনজন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।