বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে মাছ ধরার দুটি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দস্যুদের গুলিতে আহত হয়েছেন একটি ট্রলারের জেলে জহির আহমদ (৫০)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার উপকূল থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় গুলিবিদ্ধ জেলে জহিরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের মামুনপাড়ার ছিদ্দিক আহমদের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারটি ১৯ জেলে নিয়ে সাত দিন আগে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরে ট্রলারটি গতকাল সকালে সাগর থেকে উপকূলের দিকে ফিরে আসছিল। বেলা ১১টার দিকে অস্ত্রধারী জলদস্যুরা আরেকটি ট্রলার নিয়ে মায়ের দোয়া ট্রলারের জেলেদের জিম্মি করে। এরপর আহরিত মাছ-জাল ও জ্বালানি লুট করে। তাতে বাধা দেওয়ায় দস্যুরা জেলে জহির আহমদকে গুলি করে। আজ সকালে ট্রলারটি শহরের বাঁকখালী নদীতে পৌঁছালে গুলিবিদ্ধ জেলেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। গুলিবিদ্ধ জেলে জহির আহমদের বাড়ি নোয়াখালীতে।
একই সময় মহেশখালীর আরেকটি ট্রলারে লুটপাট চালায় জলদস্যুরা। এ সময় জেলেদের জিম্মি করে ট্রলারের মাছ-জাল ও জ্বালানি তেল লুট করা হয়। ট্রলারের মালিক ও জেলেরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে গভীর বঙ্গোপসাগরে ইলিশসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়ছে। জেলেরা মাছ আহরণ করে ট্রলার নিয়ে ঘাটে ফেরার সময় টেকনাফ, মহেশখালী ও সোনাদিয়া চ্যানেলে একাধিক জলদস্যু বাহিনীর হামলা ও লুটপাটের শিকার হচ্ছেন।