জয়ের জন্য শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৪ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার আয়াবঙ্গা খাকার দ্বিতীয় বলেই চার মেরে ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটের জয় এনে দেন ন্যাট শিভার–বার্নট। নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচই জিতে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে উঠে এল ইংল্যান্ড।
শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১২৪ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৯ বলে ৪২ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লরা ভলভার্ট। পাওয়ার প্লেতে ওঠা ১ উইকেটে ৩৭ রানের মধ্যে ১৫ বলে ২২ রান ভলভার্টের। ১৬তম ওভারে দলীয় ৮৮ রানে আউট হন ভলভার্ট।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে ভলভার্ট ছাড়াও দুই অঙ্কের ইনিংস আছে আরও চারটি। ১৭ বলে ২৬ রান করেন মারিজানে কাপ, ১১ বলে ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন অ্যানেরি ডেরেকসেন, ২৬ বলে ১৮ রান করেন অ্যানেকে বোস ও ১৯ বলে ১৩ রান করেন তাজমিন ব্রিটস। ইংল্যান্ডের তিন স্পিনার সারা গ্লেন, চার্লি ডিন ও সোফি একলেস্টন মিলে ১২ ওভারে মাত্র ৫৮ রানে ৪টি উইকেট নেন। ১৫ রানে ২ উইকেট নেন একলেস্টন।
তাড়া করতে নামা ইংল্যান্ডকে বেকায়দায় ফেলতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু একাধিক ক্যাচ ছাড়ার মাশুল দিতে হয়েছে। দুটি জুটিতে ভর করে লক্ষ্যটি টপকে গেছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় উইকেটে ড্যানি ওয়াট ও এলিস কাপেসির ২৬ বলে ৩৪ এবং তৃতীয় উইকেটে ওয়াট ও ন্যাট শিভারের ৫৫ বলে ৬৪ রানের জুটিতে লক্ষ্যটি সহজ করে ফেলে ইংল্যান্ড। ৪৩ বলে ৪৩ করে ১৮তম ওভারের শেষ বলে আউট হন ড্যানি ওয়াট। ৩৬ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ন্যাট শিভার। দুজনেই দুটি ‘হাফ–চান্স’ দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
এই জয় ইংল্যান্ডের জন্য প্রতিশোধেরও। গত বছর নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৬ রানে হেরেছিল ইংল্যান্ড। ২ ম্যাচে ১ জয়ে মোট ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে তৃতীয় দক্ষিণ আফ্রিকা। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট পেলেও দক্ষিণ আফ্রিকার (০.২৪৫) সঙ্গে রান রেটে এগিয়ে দ্বিতীয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১.১৫৪)। বাংলাদেশও ২ ম্যাচে ১ জয়ে মোট ২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ। নিগারদের রান রেট –০.১২৫। গ্রুপের তলানিতে থাকা স্কটল্যান্ড ২ ম্যাচে জয়হীন।
দুবাইয়ে বুধবার স্কটল্যান্ড এবং শনিবার বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। শারজায় ইংল্যান্ডের পরবর্তী ম্যাচ রোববার স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হওয়ার আগে আগামী বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১২৪/৬ (ভলভার্ট ৪২, কাপ ২৬, ডেরেকসেন ২০*; একলেস্টন ২/১৫, গ্লেন ১/১৮)।
ইংল্যান্ড: ১৯.২ ওভারে ১২৫/৩ (ন্যাট শিভার ৪৮*, ড্যানি ওয়াট ৪৩, এলিস ১৯; কাপ ১/১৭, নাদিন ১/২৩)।
ফল: ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: সোফি একলেস্টন (ইংল্যান্ড)।