ফ্রান্সে একজন ডানপন্থি প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসায় প্রবাসীদের ওপর এর কেমন প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। বর্তমানে দেশটির অভিবাসন নীতিতে আরো কড়াকড়ি আরোপের আশঙ্কা করছেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা। অনিয়মিতদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে অনেকটা বাধ্য করা হতে পারে বলেও গুঞ্জন উঠেছে।
এইসব আশঙ্কা ও গুঞ্জনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘সাফ’ সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সভায় বক্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশে সরকার পতনের পর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করা প্রবাসীদের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
বক্তারা জানান, আগামীতে ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রযয়ের আবেদনের ক্ষেত্রে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোকেই অগ্রাধিকার দেয়া হতে পারে।
উল্লেখ্য, মাস তিনেক আগে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তবে বেশির ভাগ আসন পেয়েছে বামপন্থিরা। তাই বামপন্থিদের এড়িয়ে একজন ডানপন্থিকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য বেছে নেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও বামপন্থি দল।
সম্প্রতি ডানপন্থি মিশেল বার্নিয়েকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ব্রেক্সিট বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বার্নিয়ে। যদিও তিনি বলেছেন, বামপন্থিসহ সব ধারার রাজনীতিকদের নিয়ে সরকার গঠন করতে চান তিনি।