‘বয়স ২৬ বছরেরও কম। তবে এই বয়সেই বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর এক ব্যক্তিকে মসনদ থেকে নামাতে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এই স্নাতক বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ। অনেক প্রতিবাদী নেতার মধ্যে একজন তিনি। দেশের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাতে নির্যাতিত হওয়ার পরে ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।’
নাহিদ ইসলাম সম্পর্কে ওয়েবসাইটে এভাবেই বর্ণনা করেছে টাইম ম্যাগাজিন। প্রতি বছর বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করে নিউইয়র্কভিত্তিক বিখ্যাত এই মার্কিন সাময়িকীটি। এবার সেই তালিকায় জায়গা করে নিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্বতম সমন্বয়ক ও সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের দুটি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হয়েছেন নাহিদ।
টাইম ম্যাগাজিন নাহিদ সম্পর্কে আরও লিখেছে, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারে ‘জেন জি’র দুই উপদেষ্টার একজন নাহিদ। অন্যজন হচ্ছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
টাইম বলছে, ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যেভাবে ভেঙে পড়েছে, এখন তাকে মেরামতের চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে নতুন সরকারকে।
এ বিষয়ে নাহিদের ভাষ্য, আমাদের নতুন প্রজন্মের পালস বুঝতে হবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহিংসতার যে পালাক্রম– অবশ্যই তার অবসান হতে হবে। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।