সৌদি আরবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করায় মোহাম্মদ আল-গামদি নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই অভিযোগে এর আগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে সেই সাজা বাতিল করেন আদালত। এর দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে সৌদি আদালত নতুন সাজা ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছেন অভিযুক্তের ভাই সাঈদ আল-গামদি।
সৌদি আরবের বর্তমান শাসক এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের অধীনে দেশটিতে বাকস্বাধীনতার ওপর মারাত্মক হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে সমালোচকদের। মোহাম্মদ আল-গামদির সাজাও সেই দমনমূলক পদক্ষেপের অংশ বলে মনে করছেন তারা।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এক সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ বিন সালমান এই মামলাটি নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি এটি নিয়ে সরকার ‘লজ্জিত’ বলে উল্লেখ করেন এবং রায় পরিবর্তনের আশাবাদ প্রকাশ করেন।
গত আগস্ট মাসে মোহাম্মদ আল-গামদির মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা হয়। তবে আপিল আদালত তাকে একই অভিযোগে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপি’কে এ কথা জানিছেন তার ভাই সাঈদ আল-গামদি।
সাঈদ একজন ইসলামিক পণ্ডিত এবং বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, সৌদি আরবে সরকারের সমালোচকদের ওপর কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এই সাজা দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনা সৌদি আরবে রাজনৈতিক বিরোধী এবং বাকস্বাধীনতার ওপর ক্রমবর্ধমান দমনপীড়নের একটি প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের শাসনামলে আরও তীব্রতর হয়েছে বলে দাবি করে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।