বলিউড তারকা সালমান খানের বাড়িতে গত এপ্রিলে দুষ্কৃতকারীরা গুলি চালিয়েছিল। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এদের মধ্যে ভিকি কুমার গুপ্ত নামে এক অভিযুক্ত সোমবার (৫ আগস্ট) জামিনের আবেদন করেছেন।
পুলিশ আগেই সালমানের বাড়িতে গুলির ঘটনায় জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের যোগসূত্র পেয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত ভিকি কুমার গুপ্ত বলেছেন ভিন্ন কথা। এ ব্যাপারে নতুন তথ্য দিয়েছেন তিনি।
ভিকি বলেছেন, এ ঘটনায় লরেন্স বিষ্ণোইয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তার নাম অকারণে আনা হচ্ছে। ২৬ বছর আগে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগে সালমান খানকে ভয় দেখানই ছিল গুলি চালানোর আসল কারণ।
এদিকে গত মাসে দিল্লির একটি আদালতে মামলাটির চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ। সেই চার্জশিটে লরেন্স বিষ্ণোই, তার ভাই আনমোল বিষ্ণোই এবং চক্রের মূল সদস্য রোহিত গোধারাকে অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৪ এপ্রিল সকালে সালমানের বান্দ্রার বাড়ির বাইরে গুলি করে ভিকি কুমার গুপ্ত ও সাগর পাল নামে দুই ব্যক্তি পালিয়ে যায়। পরে গুজরাটে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর সোমবার ভিকি কুমার গুপ্ত এবং তার আইনজীবী অমিত মিশ্র, সুনীল মিশ্র এবং পঙ্কজ ঘিলদিয়ালের মাধ্যমে আদালতে জামিনের আবেদন করেন। বিশেষ বিচারক বিডি শেল্কে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কথা শুনতে চান। পাশাপাশি ১৩ আগস্ট পরবর্তী শুনানি স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে জামিনের আবেদনে বলা হয়েছে, আবেদনকারী আসলে বিভিন্ন মাধ্যমে লরেন্স বিষ্ণোই দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। ভিকি কুমার গুপ্ত আরও বলেছেন, তিনি দরিদ্র পরিবারে জন্মেছেন, বিহারের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে তার বাড়ি। তিনি ছিলেন ঋণগ্রস্ত। এ কারণে তিনি অপরাধের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন।
পিটিশনে বলা হয়েছে, ১৯৯৮ সালে রাজস্থানে বিষ্ণোই সম্প্রদায় ভক্তি করে এ রকম দুটি কৃষ্ণ হরিণ হত্যার কারণে সালমান খানকে ভয় দেখানোই ছিল উদ্দেশ্যে। কারণ তিনি এখনও নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাননি। এ মামলায় সালমান দোষী প্রমাণিত হয়েছিলেন। যদিও পরে হাইকোর্ট এ অভিনেতাকে মুক্তি দেন।
বিষ্ণু-পূজারি বিষ্ণোই সম্প্রদায় কয়েকশ বছর ধরে কিছু রীতি মেনে চলেন। সে রীতির মূলনীতি প্রকৃতির সুরক্ষা, বৃক্ষ ও প্রাণী রক্ষা। বিশেষ করে ওই কৃষ্ণ হরিণকে বিষ্ণোই সম্প্রদায় পবিত্রজ্ঞান করে ভক্তি করে। প্রাচীন হিন্দু পুরানে এই কৃষ্ণ হরিণের ব্যাপারে বলা হয়েছে যে, এরা ভগবান কৃষ্ণের রথ টানতো।