
পাঞ্জাব কিংসের সামনে সমীকরণ ছিল সহজ। জিতলেই নিশ্চিত হতো কোয়ালিফায়ারের টিকিট। ৭ উইকেট আর ৯ বল হাতে রেখে জয়টা তুলে নিয়ে সে সমীকরণ মিলিয়ে ফেলেছে কখনো আইপিএল জিততে না পারা দলটা। প্রথম আইপিএল শিরোপা থেকে তাদের দূরত্বটা এখন স্রেফ দুই ম্যাচের।
ম্যাচের আগে শীর্ষে ছিল গুজরাট টাইটান্স। ১৪ ম্যাচ থেকে তাদের অর্জন ছিল ১৮ পয়েন্ট। আর পাঞ্জাবের পয়েন্ট ছিল ১৩ ম্যাচে ১৭। আজ জয় নিয়ে গুজরাটকে টপকে গেছে শ্রেয়াস আইয়ারের দল।
পাঞ্জাবের সামনে লক্ষ্যটা ছিল ১৮৫ রানের। এ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই প্রাভসিমরান সিংয়ের উইকেট খুইয়ে বসে পাঞ্জাব। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য ১০৯ রানের জুটি গড়েন জশ ইংলিসকে সঙ্গে নিয়ে।
৩৫ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলা আর্য যখন বিদায় নিচ্ছেন, দল তখন কোয়ালিফায়ার থেকে আর মোটে ৪২ রানের দূরত্বে। ওপাশে জশ ইংলিস ছিলেন আরও কিছুক্ষণ। ৪২ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে তিনি বিদায় নিয়েছেন দলের জয়ের ১৪ রান বাকি থাকতে। অধিনায়ক শ্রেয়াস অবশ্য দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়ে তবেই ফিরেছেন। ১৬ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
এর আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স শুরুতে ব্যাট করতে নেমে রায়ান রিকেলটন আর রোহিত শর্মার কল্যাণে পায় সন্তোষজনক সূচনা। ওপেনিং জুটিতে আসে ৪৫ রান। এরপর দলীয় ৮১ রানে ফেরেন রোহিত।
থমকে যাওয়া রানের চাকাটা মুম্বাই সচল করে সূর্যকুমার যাদবের ৩৯ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে। শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়ার ১৫ বলে ২৬ আর নামান ধীরের ১২ বলে ২০ রানের ক্যামিওতে মুম্বাই গড়ে ৭ উইকেটে ১৮৪ রানের পুঁজি। তবে প্রিয়াংশ আর্য আর জশ ইংলিসের ব্যাটে চড়ে যা অনায়াসেই তাড়া করে ফেলে পাঞ্জাব, চলে যায় কোয়ালিফায়ারে।
পাঞ্জাবের এই জয়ে কপাল পুড়েছে গুজরাট টাইটান্সের। প্রথম স্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে দলটা। মঙ্গলবার লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে হারাতে পারলে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুও যোগ দেবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে। সেক্ষেত্রে গুজরাটের জায়গা হবে এলিমিনেটরে। সেখানে তাদের জন্য অপেক্ষা করবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।