
সদ্য শেষ হওয়া এপ্রিল মাসে দেশে ২৭৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা।
এটি মাস হিসেবে সর্বোচ্চ দ্বিতীয় রেমিট্যান্স বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ মাসে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যা প্রায় ৭১ কোটি ডলার বা ৩৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৮ দশমিক ৩০ শতাংশ।
গত এপ্রিল মাসের এ রেমিট্যান্স একক মাস হিসেবে এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এখন পর্যন্ত কোনো এক মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে গত মার্চ মাসে। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৬৪ কোটি ডলার এসেছে গত ডিসেম্বর মাসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ৯১২ কোটি ডলার। এ হিসেবে দশ মাসে বেশি এসেছে ৫৪২ কোটি ডলার, যা ২৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের পুরো সময়ে যেখানে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলার। এর মানে আগের অর্থবছরের পুরো সময়ের তুলনায়ও ১০ মাসেই বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানি আয়েও ১১ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি রয়েছে। টানা ২০ মাস পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে আবার ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল রিজার্ভ উঠেছে ২২ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলারে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের আগস্টে রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। পরের মাসে কমে ২১ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এর পর আর ২২ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেনি। দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল ২০২২ সালের আগস্টে। সেখান থেকে প্রতি মাসে কমতে কমতে সরকার পতনের আগে গত জুলাই শেষে ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল।