
বকেয়া বেতন আদায়ে মালয়েশিয়ান কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা অভিযোগ দায়ের করেছেন। ৪০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় প্লাস্টিকের উপাদান সরবরাহকারী কাওয়াগুচি ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের বিরুদ্ধে বকেয়া বেতন পরিশোধে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন অভিবাসী অধিকার কর্মী অ্যান্ডি হল।
অ্যান্ডি হল জানান, শ্রমিকরা বলেছেন যে তারা জানুয়ারিতে মাত্র প্রথম কিস্তির ১ হাজার রিঙ্গিত পেয়েছেন। এপ্রিলে দ্বিতীয় কিস্তির বকেয়া বেতন এখনও পরিশোধ করা হয়নি।
অভিযোগকারীদের মধ্যে ২৫১ জন শ্রমিক রয়েছেন গত ডিসেম্বরে সম্পাদিত একটি চুক্তি অনুযায়ী মোট প্রায় ৩ মিলিয়ন রিঙ্গিত অতিরিক্ত বেতন পাওয়ার কথা ছিল। কিছু শ্রমিক গত বছর সাত মাস ধরে বেতন ছাড়াই কাজ করেছেন। ৩০ এপ্রিল বুধবার পোর্ট ক্লাং-এর শ্রম বিভাগে আবেদনকারী ২২ জন শ্রমিকের একজন মুখপাত্র বলেন, তাদের মধ্যে ১২ জন এখনও বেকার।
তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা চাকরি পাচ্ছেন না। শ্রমিকরা বলছেন, তাদের কোনো দোষ নেই। এমনকি তারা বাড়িও ফিরতে পারছেন না। বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা ধার করে চলতে হচ্ছে তাদের।
পোর্ট ক্লাং শ্রম অফিস জানিয়েছে, তারা এখনো কাওয়াগুচি ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের প্রাক্তন কর্মীদের দাবি তদন্ত করছেন। এই কর্মীরা নিকটতম শ্রম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন এবং তাদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন বলে জানিয়েছে বিভাগটি।
এ বিষয়ে কাওয়াগুচি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। কাওয়াগুচি ম্যানুফ্যাকচারিং শীর্ষ জাপানি এয়ার কন্ডিশনিং এবং ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডগুলোতে উপাদান সরবরাহ করে থাকে।
হল জানান, বাংলাদেশে ফিরে আসা কাওয়াগুচির আরও ২২ জন কর্মী ঢাকায় প্রবাসী মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বাংলাদেশের শ্রমিকরা বলেছেন যে, তারা শনিবার (৩ মে) একই বিষয়ে ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান হাইকমিশনে আবেদন করবেন। অন্যদিকে মালয়েশিয়ার শ্রমিকরা বলেছেন যে, তারা বাংলাদেশি হাইকমিশনে সহায়তা চাইতে যাবেন।
হল বলেন, কাওয়াগুচির বিরুদ্ধে মামলাটি মালয়েশিয়ায় পদ্ধতিগত আধুনিক দাসত্ব, জোরপূর্বক শ্রম, দায়মুক্তি, দুর্নীতি এবং আইনের শাসনের অনুপস্থিতির প্রতীক।
বাংলাদেশ বা মালয়েশিযার কর্মকর্তারা শ্রমিকদের ন্যায়বিচার এবং তাদের বকেয়া মজুরি পেতে সহায়তা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে অ্যান্ডি হল বলেন, শ্রমিকরা তাদের এই ধরনের নির্যাতন থেকে রক্ষা করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত উভয় দেশের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করা ছাড়া আর কী করতে পারেন?
শ্রম বিভাগ কাওয়াগুচি এবং আবাসন সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বেতন এবং তাদের আবাসন সুবিধার জন্য সার্টিফিকেশনের অভাবের ঘটনার ওপর আটটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
হল বলেন, কাওয়াগুচির বিরুদ্ধে মামলাটি মালয়েশিয়ায় পদ্ধতিগত আধুনিক দাসত্ব, জোরপূর্বক শ্রম, দায়মুক্তি, দুর্নীতি এবং আইনের শাসনের অনুপস্থিতির প্রতীক।
বাংলাদেশ বা মালয়েশিযার কর্মকর্তারা শ্রমিকদের ন্যায়বিচার এবং তাদের বকেয়া মজুরি পেতে সহায়তা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে অ্যান্ডি হল বলেন, শ্রমিকরা তাদের এই ধরনের নির্যাতন থেকে রক্ষা করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত উভয় দেশের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করা ছাড়া আর কী করতে পারেন?
শ্রম বিভাগ কাওয়াগুচি এবং আবাসন সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বেতন এবং তাদের আবাসন সুবিধার জন্য সার্টিফিকেশনের অভাবের ঘটনার ওপর আটটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এদিকে বাংলাদেশি কর্মীদের বকেয়া বেতন আদায়ে হাইকমিশনে কোনো তথ্য আছে কি না তা জানতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।