
এবারের আইপিএলে ঘরের মাঠে খুব বাজে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তিন ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই হেরেছে তারা। বৃহস্পতিবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ২০৫ রান তুলেছে স্বাগতিকরা।
ঘরের মাঠে এবারের আইপিএলে প্রথমবার ২০০ পার করল তারা। এরপর নেপথ্যে অবশ্য বিরাট কোহলির দুর্দান্ত ব্যাটিং। তিনি করেছেন ৭০ রান ও দেবদূত পাড়িক্কল করেন ৫০ রান।
যদিও বেঙ্গালুরু শুরুটা যে রকম করেছিল তাতে আরও বেশি রান হওয়া উচিত ছিল। শেষ দিকে কয়েকটি উইকেট পড়ায় রান তোলার গতি কিছুটা কমে যায় তাদের।
রাজস্থানের বিরুদ্ধে টস হারেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক রজত পাতিদার। চলতি মৌসুমে ঘরের মাঠে চারটি ম্যাচেই টস হারলেন তিনি। ফলে প্রতিটি ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে হয় বেঙ্গালুরুকে। এবার এম চিন্নাস্বামীর উইকেটে বোলাররা কিছুটা হলেও সুবিধা পাচ্ছেন। রাজস্থানের বোলাররাও পাচ্ছিলেন। দ্বিতীয় ওভারে ফজলহক ফারুকির বলে ক্যাচও তোলেন ফিল সল্ট। মিড অনে সহজ ক্যাচ ছাড়েন রাজস্থানের অধিনায়ক রায়ান পরাগ। তিনি ক্যাচ ধরতে পারলেন সমস্যায় পড়তে হত বেঙ্গালুরুকে। কিন্তু সুযোগ নষ্ট করার খেসারত দিতে হল রাজস্থানকে।
একবার জীবন পাওয়ায় পর চালিয়ে খেলা শুরু করলেন সল্ট। অপর প্রান্তে কোহলিও হাত খোলেন। যদিও কয়েকটি বলে ভাগ্যের সাহায্য পান তারা। পাওয়ার প্লেতে ওঠে ৫৯ রান। সপ্তম ওভারে ২৬ রানের মাথায় সল্টকে ফিরিয়ে বেঙ্গালুরুকে প্রথম ধাক্কা দেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গ। দ্বিতীয় উইকেটে কোহলির সঙ্গে জুটি বাঁধেন পাড়িক্কল।
দুই ব্যাটার দুর্দান্ত খেলা দেখান। কোহলি ও পাড়িক্কলের মধ্যে ৯৫ রানের জুটি হয়। কোহলি এবারের মৌসুমে ঘরের মাঠে প্রথম অর্ধশতরান করলেন। বড় শটের পাশাপাশি যেভাবে দৌড়ে তিনি রান নিলেন, তা অন্যদের কাছে শিক্ষনীয়। ৪২ বলে ৭০ রান করে আর্চারের বলে আউট হন তিনি। ৫০ রান করে আউট হন পাড়িক্কল।
দুই ব্যাটার ফেরার পর অল্প রানে ফেরেন পাতিদারও। পরপর তিন ব্যাটার আউট হওয়ায় রানের গতি কিছুটা কমে বেঙ্গালুরুর। শেষ পর্যন্ত টিম ডেভিড ও জিতেশ শর্মার ব্যাটে ২০০ পার হয় তাদের। তবে প্রথম ইনিংসেই শিশিরের কারণে বল বদলাতে হয়েছে। যা পরিস্থিতি তাতে এই রান বাঁচানো অত সহজ হবে না বেঙ্গালুরুর পক্ষে। এখন দেখার রাজস্থান জবাবে কেমন ব্যাট করে।