
চলতি মৌসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) অবস্থা মোটেও ভালো না। ৮ ম্যাচের ৩টিতেই হেরেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। সর্বশেষ হারটি আজ সোমবার গুজরাট টাইটাসনের বিপক্ষে ৩৯ রানে।
আগের ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের কাছে হেরেছিল কলকাতা। অর্থাৎ টানা দুই ম্যাচে হারের তিক্ত স্বাদ পেল আজিঙ্কা রাহানের দল। অন্যদিকে ৮ ম্যাচে ষষ্ঠ জয় পেলো টেবিলটপার গুজরাট। এতে শীর্ষস্থান আরও মজবুত হয়েছে শুবমান গিলের দলের।
সোমবার কলকাতার ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে তিন ব্যাটার- শুবমান গিল, সাই সুদর্শন ও জস বাটলারের ঝড়ে ৩ উইকেটে ১৯৮ রান করে গুজরাট। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৯ রান করে কলকাতা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে গুজরাটের উদ্বোধনী জুটিতে ৭৫ বলে ১১৪ রান তোলেন গিল ও সুদর্শন। ৩৬ বলে ৫২ রানের (৬ চার ১ ছক্কা) মারকুটে ইনিংস খেলে সুদর্শন আউট হলে জুটি ভাঙে।
দ্বিতীয় উইকেটে বাটলারকে নিয়ে ৩৩ বলে ৫৮ রানের জুটি করেন গিল। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৫৫ বলে ৯০ রান (১০ চার ৩ ছক্কায়) করে সাজঘরে ফেরত যান গুজরাট অধিনায়ক।
শেষদিকে পুঁজি বাড়িয়ে নিতে অবদান রাখেন বাটলার। ২৩ বলে অপরাজিত ৪১ রান করেন ডানহাতি ইংলিশ ব্যাটার। ৫ বলে ১১ রানের অবদান শাহরুখ খানের।
১৯৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কলকাতা। চলতি আইপিএলে আজ প্রথমবার কলকাতার হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি আফগান ব্যাটার। ৪ বল খেলে মাত্র ১ রানে আউট হয়ে যান তিনি। তখন কলকাতার দলীয় স্কোর মাত্র ৪।
এরপর ম্যাচ ধরার চেষ্টা করেন সুনিল নারিন ও রাহানে। তবে এই জুটি থামে ৪১ রানে। ১৩ বলে ১৭ রান করে আউট হন নারিন। ৩৬ বলে ৫০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান রাহানে।
মিডল অর্ডারে আন্দ্রে রাসেল ১৫ বলে ২১ রান করেন। শেষদিকে ১৩ বলে ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন অ্যানক্রিশ রঘুবংশী। তবে সেটি যথেষ্ট হয়নি কলকাতার জন্য। কেননা বাকিদের কেউ ২০ রানের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।
কলকাতার হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেন বৈভব অরোরা, আন্দ্রে রাসেল ও হর্ষিত রানা। গুজরাটের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন রশিদ খান ও প্রসিধ কৃষ্ণা।