গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ের কারণে ফিলিপাইনে দ্বিতীয় দিনের মতো ভারী বৃষ্টিপাতের পর বন্যা ও ভূমিধসে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর এএফপির।
রোববার রাতভর রাজধানী ম্যানিলার দক্ষিণ-পূর্বের বিকল অঞ্চলে তাণ্ডব চালানোর পর সোমবার লুজোনের প্রধান দ্বীপে আছড়ে পড়ে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় ইয়াগি। আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ফলে সেখানে বন্যা এবং আরও ভূমিধস আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশেষ সতর্কতা হিসেবে সোমবার রাজধানী জুড়ে সব স্কুল ও সরকারি অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। কিছু এলাকায় ফেরি পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে এবং আবহাওয়ার কারণে ২৯টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
ম্যানিলার তথ্য কর্মকর্তা রেলি বনিফাসিও এএফপিকে বলেন, রাজধানীর কাছাকাছি অ্যান্টিপোলোতে সোমবার ভূমিধসে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, তিনটি পাহাড়ি এলাকা থেকে সোমবার আরও চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
শহরের গণস্বাস্থ্য কর্মকর্তা জোশুয়া তুয়াজোন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, কিছু কিছু এলাকায় মাথার উচ্চতাও ছাড়িয়ে গেছে। শত শত বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। সোমবার তিন শতাধিক মানুষ বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেন।
স্থানীয় দুর্যোগ বিষয়ক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, রোববার চেবু শহরে দুটি ভূমিধসের ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছে এবং পাঁচটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলের একটি পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিধসের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়। এছাড়া আহত হয় আরও ৩১ জন।