মালয়েশিয়ায় বিশেষ অভিযানে ১১ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। গ্রেফতার করা হয়েছে একজন ভারতীয় নাগরিককেও। গ্রেফতারদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে বিভিন্ন দেশের ৫৩০টি পাসপোর্ট।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) পুত্রজায়া অভিবাসন বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২৯ আগস্ট রাজধানী কুয়ালালামপুরের বন্দর মেনজালারা, জালান মেদান টুয়াঙ্কু, জালান তিয়ং নাম এবং জালান চেরাস এলাকায় গোয়েন্দা ও বিশেষ অভিযান বিভাগ, ইমিগ্রেশন হেডকোয়ার্টার পুত্রজায়া এবং বিভিন্ন পদের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১১ বাংলাদেশি এবং একজন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া গ্রেফতার করা হয় মালয়েশিয়ান এক নারীকেও। যিনি একটি কোম্পানির মালিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রেফতারদের বয়স ৩৩ থেকে ৫৩ বছরের মধ্যে।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, তিন বাংলাদেশি, একজন ভারতীয় ব্যক্তির বৈধ পাসপোর্ট ছিল এবং দুই বাংলাদেশি পুরুষ অতিরিক্ত সময় অবস্থান করছিলেন। তবে গ্রেফতার অন্য বিদেশি নাগরিকদের কোনো বৈধ ভ্রমণ নথি বা পাসপোর্ট ছিল না।
অভিযানে ৪১৪টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ভারতীয় ৫৭টি, ইন্দোনেশিয়ার ৩৬টি, মিয়ানমারের ৯টি, পাকিস্তানের ৭টি, শ্রীলঙ্কার ৪টি, ফিলিপাইনের একটি, নেপালের একটি, মালয়েশিয়ার একটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ৫টি কম্পিউটার সেট, একটি ল্যাপটপসহ আরও বেশকিছু জিনিসপত্র জব্দ করেছে অভিবাসন বিভাগ।
ইমিগ্রেশনের উপ-পরিচালক (অপারেশন) জাফরি বিন এমবোক তাহা জানিয়েছেন, অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬, ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এবং অ্যান্টি-ট্রাফিকিং ইন পারসন এবং অ্যান্টি স্মাগলিংয়ের অধীনে যে কোনো অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত থাকবে।