জো রুটের ১৪৩ আর পেসার গাস অ্যাটকিনসনের ১১৮ রানের উপর ভরে প্রথম ইনিংসে ৪২৭ রানে থামে ইংল্যান্ড। জবাবে দিতে নামা শ্রীলঙ্কা যেন ইংলিশদের সামনে অর্বাচীন বালকের দলে পরিণত হয়। ইংলিশ পেসারদের তোপের মুখে দ্বিতীয় দিন শেষ হওয়ার আগেই মাত্র ১৯৬ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা।
২৩১ রানের লিড নিয়ে দিনের বাকি অংশে ব্যাট করে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দিনের শেষ পর্যন্ত ৭ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেট হারিয়ে ২৫ রান করে ইংলিশরা। এতে স্বাগতিকদের লিড দাঁড়িয়েছে ২৫৬ রান।
গতকাল শুক্রবার ৭ উইকেটে ৩৫৮ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। তখন ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন অ্যাটকিনস। তার সঙ্গে ২০ রানে খেলা শুরু করেছিলেন ম্যাথিউ পটস।
এরপর সবাইকে চমকে দিয়ে ৭৪ রানকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করেন পেসার হিসেবে স্বীকৃত অ্যাটকিনসন। এটি তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। পটস অবশ্য ১ রান যোগ করেই আউট হয়ে যান। শেষ দিকে অলি স্টোন আর শোয়াইব বশিরের সহায়তায় দ্রুতগতিতে রান তুলে শতক পূর্ণ করেন অ্যাটকিনসন। ১১৫ বলে ১১৮ রানে থামেন স্বীকৃত পেসার।
জবাব দিতে নামা শ্রীলঙ্কার হয়ে একমাত্র কামিন্দু মেন্ডিস ফিফটি হাঁকান। ১২০ বলে ৭৪ রান করেন তিনি। বাকিদের কেউ আর ৩০ রানের ঘরও স্পর্শ করতে পারেনি।
৩৩ বলে ২৩ রান করেন দিনেশ চান্দিমাল আর ৩৩ বলে ২২ রান করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ৮৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। শেষ দিকে সপ্তম, অষ্টম ও নবম উইকেটে ছোট ছোট তিনটি জুটি করে দলকে ১৯৬ রানে টেনে নেন মেন্ডিস। অ্যাটকিনসনের বলে মেন্ডিস আউট হলে শেষ হয় লঙ্কানদের প্রথম ইনিংস।
লঙ্কানরা অলআউট হয়ে গেলেও তখনো দ্বিতীয় দিনের কিছু সময় বাকি থেকে যায়। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে শেষ বেলায় ডেন লরেঞ্জের (১২ বলে ৭) উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৭ ওভার ব্যাট করে ২৫ রান নিয়ে দিনের খেলা করে ইংলিশরা। বেন ডাকেট ১৫ আর অলি পোপ ৭ রানে অপরাজিত আছেন।