
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্লকবাস্টার সেমিফাইনালে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) মুখোমুখি হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের শোধ তুলতে মরিয়া ইন্ডিয়া। আর খর্বশক্তির দল নিয়েও ফাইনালের টিকিট পাওয়ার আশা অজিদের। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায়।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে বলে-কয়ে তাদের মাটিতে হারিয়ে দিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। ঐ আঘাতে ইন্ডিয়ানদের হৃদয়ে এখনও চলছে রক্তক্ষরণ। আসর জুড়ে অপরাজিত ভারত শিরোপার মঞ্চে চোক করেছিলো। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও এখন পর্যন্ত ম্যাচ হারেনি রোহিত-কোহলিরা। আবারও সামনে মাইটি অজিস। মঞ্চটা সেমিফাইনাল।
তবে, সিনারিও একেবারে আলাদা। কন্ডিশনের বিরাট সুবিধা পাচ্ছে ভারত। কেবল এক ভেন্যুতে খেলায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে উইকেটের আচরণের সঙ্গে। গেইমপ্ল্যান হচ্ছে নিখুঁত। ভ্রমণক্লান্তি নেই, দল একদম তরতাজা। লাক্সারিয়াস সিটিতে খোশমেজাজে মেন ইন ব্লু। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম হয়ে উঠেছে তাদের হোম ভেন্যু।
সবকিছু আয়ত্তের মধ্যে থাকায় বাড়তি অনুশীলনের দরকার হচ্ছে না। ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর মাত্র একদিন অনুশীলন করে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছে তারা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিগ ম্যাচের আগের দিনটাও কাটিয়েছে বিশ্রামে।
তবে, অস্ট্রেলিয়া দলের দম ফেলার ফুরসত নেই। ভারতীয়দের মতো আরাম আয়েশে সময় কাটাতে পারছে না তারা। সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ-তারিখ চূড়ান্ত হওয়ার আগেই পাকিস্তান থেকে আমিরাতে ট্রাভেল করতে হয়েছে তাদের। ভারত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে গেলে আবার পাকিস্তানে ফিরে যেতে হতো তাদের। সেটা করতে হচ্ছে না, হাফ ছেড়ে বেঁচেছে অজিরা।
হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগের দিন দীর্ঘ অনুশীলন সেশনে গেইমপ্ল্যান আর ইলেভেন সাজানোর চেষ্টা করেছেন কোচ অ্যন্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড। তার স্কোয়াডে শনির দশা। কামিন্স, স্টার্ক, হ্যাজলউড, মার্শরা নেই আগেই। সেমির আগে ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন ম্যাথিউ শর্ট। তার জায়গায় স্কোয়াডে যুক্ত করা হয়েছে কুপার কনোলিকে। দুবাইয়ের পিচের হিসেবে এই লেফ্ট আর্ম স্পিন অলরাউন্ডারের খেলার বড়সড় সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যাটিং অর্ডারেও আসবে পরিবর্তন। ট্রাভিস হেডের সঙ্গে ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে জশ ইংলিসকে।
তবে, অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে নামতে পারে ভারত। সেক্ষেত্রে দুবাইয়ের স্লো পিচে কুলদীপ, বরুণ, জাদেজা, অক্ষর—চার স্পিনারকে সামলানোটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে স্মিথের দলের জন্য। তবে, ইন্ডিয়ানদের মাথাব্যথার বড় কারণ হেড ও ম্যাক্সওয়েল। মেন ইন ব্লুর বিপক্ষে সবসময়ই দুর্দান্ত এ দুই বিধ্বংসী ব্যাটার।