মালদ্বীপে ‘অপারেশন কুরাঙ্গী’ নামের এক বিশেষ অভিযানের অধীনে দেশটিতে বসবাসরত অভিবাসী কর্মীদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম হয়েছিল ২০২৪ সালের মে মাসে। যার অধীনে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজারের বেশি অভিবাসীদের তথ্য সংগ্রহ করেছে দেশটির সরকার।
মালদ্বীপের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম সান এমভি এ তথ্য জানিয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট এই দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৬ লাখের মতো। সেখানে লাখের বেশি বাংলাদেশিসহ অন্য কয়েকটি দেশের অভিবাসী কর্মী আছেন। তবে বেশিরভাগ প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মরত অবৈধভাবে। এই অবৈধ অভিবাসীদের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সমাধানে তিন বছরের লক্ষ্য নিয়ে যৌথভাবে ‘অপারেশন কুরাঙ্গী’ নামের একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অভিবাসন বিভাগ।
এর মূল উদ্দেশ্য মালদ্বীপের প্রাসঙ্গিক অভিবাসন আইন অনুযায়ী অভিবাসী কর্মীরা বসবাস করছেন কি না, তা নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যেই দেশজুড়ে সব অভিবাসী কর্মীদের বায়োমেট্রিক ডেটা বা তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয় ২০২৪ সালের মে মাস থেকে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স পোস্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইহুসান এই অভিযানের অধীনে সংগৃহীত বায়োমেট্রিক তথ্যের বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন।
এতে তিনি উল্লেখ করেন, রাজধানী মালেসহ এর পার্শ্ববর্তী শহরগুলোর ব্যক্তিগত সেক্টর এবং পাবলিক স্পেসগুলোতে অভিযানের সম্প্রসারণ চিহ্নিতকরণ সম্প্রতি জোরালোভাবে শুরু হয়েছে। বায়োমেট্রিক তথ্যর ভিত্তিতে অভিবাসীদের আঙুলের ছাপ এবং মুখমণ্ডলের স্বীকৃতির জন্য ছবি সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংগৃহীত তথ্যগুলো পরে দেশটির সরকারি ডেটাবেজে আপডেট করা হবে।
একই পোস্টে মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ হাজার অভিবাসীর বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এরপর গত দুই মাসে অতিরিক্ত ১৫ হাজারের বেশি অভিবাসীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ২৫ হাজার ৪৮৪ জন অভিবাসীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
এক্স পোস্টে, মালদ্বীপে অবৈধ অভিবাসনের সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধানের লক্ষ্যে তিন বছরের পরিকল্পনার অধীনে এই প্রচেষ্টাগুলো ২০২৭ সালের এপ্রিলে সফলভাবে সম্পন্ন হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।