কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়ক ডিবি অফিস থেকে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তার জন্য ৬ জনকে (সমন্বয়ক) যে ডিবি অফিসে নেওয়া হয়েছে, সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট ডিভিশনে একটা মামলা করা হয়েছিল। হাইকোর্টে মামলাটি চলাকালীন আমি গতকাল শুনেছি যে একজন বিচারপতি তিনি অসুস্থ হিসেবে ছুটি নিয়েছেন। আমি গতকাল পর্যন্ত জানতাম তিনি অসুস্থ হিসেবে একদিনের ছুটি নিয়েছেন। গত রাতে জানতে পারি তিনি আজও ছুটিতে আছেন। হাইকোর্ট ডিভিশনে যে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা সেই মামলাটির শুনানি আজও হবে না।’
‘এটাও সঠিক, তারা আমাদের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিল। এ ব্যাপারে জিডিও করা হয়েছিল। এখন তারা বলেছেন তাদের আর নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই, যখন তারা চলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, চলে যেতে আমরা কোনো বাধা দেইনি। তারা চলে গেছেন।’ বলেন আইনমন্ত্রী।
গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসারত অবস্থায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরদিন শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহকে গোয়েন্দা পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয়। এরপর রোববার ভোরে তুলে আনা হয় নুসরাত তাবাসসুমকে।
ডিবি হেফাজতে থাকা অবস্থায় তারা সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। বিষয়টি সমালোচনার জন্ম দেয়, বলা হয় শিক্ষার্থীদের চাপ দিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পরিবারের পক্ষ থেকেও তাদের বাসায় যেতে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।