গত জুলাই থেকে শ্রীলঙ্কার অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পালন করে আসছেন সনাৎ জয়াসুরিয়া। তার অধীনে শ্রীলঙ্কা দারুণ সাফল্য পেয়েছে। ফলে তিনি যে পুরস্কৃত হবেন তা অনেকটা অনুমিতই ছিল। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে সাফল্য এনে দেয়ায় এই কিংবদন্তিকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দিয়েছে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড।
শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের প্রধান কোচের পদে স্থায়ীভাবে নিয়োগ পেয়েছেন লঙ্কান কিংবদন্তি সনাৎ জয়াসুরিয়া। তিন মাস আগে ক্রিস সিলভারউডের জায়গায় অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পান এই ৫৫ বছর বয়সী সাবেক অলরাউন্ডার।
লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, জয়াসুরিয়াকে ২০২৬ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত সময়কালের জন্য প্রধান কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গত জুলাইয়ে কোচের পদে বসার পর শ্রীলঙ্কাকে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এনে দিয়েছেন তিনি।
তার অধীনেই দীর্ঘ ২৭ বছর পর ভারতকে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। দীর্ঘ ১০ বছর পর ইংল্যান্ডের মাটিতে তাদের টেস্টে হারিয়েছে লঙ্কানরা। সম্প্রতি ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার সম্ভাবনাও জাগিয়েছে জয়াসুরিয়ার দল।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট এক বিবৃতিতে জয়াসুরিয়ার নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ভারত, ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, যেখানে জয়াসুরিয়া অন্তর্বর্তীকালীন কোচ ছিলেন, দলের ভালো পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়ে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের নির্বাহী কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এটিই কোচ হিসেবে জয়াসুরিয়ার প্রথম কোনো বড় দায়িত্ব। বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, স্বাধীনভাবে খেলোয়াড়রা যেন নিজেদের সেরাটা দিতে পারেন এমন পরিবেশ তৈরি করাই তার কোচিংয়ের প্রাথমিক লক্ষ্য।
এর আগে জয়াসুরিয়া দুই দফায় শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বও পালন করেছেন। এই দায়িত্ব পালন করার সময় আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী আইন ভাঙার অভিযোগ দুই বছরের নিষেধাজ্ঞাও পেয়েছিলেন তিনি।
স্থায়ী কোচ হওয়ার পর জয়াসুরিয়ার সামনে প্রথম চ্যালেঞ্জ ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজ। এই সিরিজের ম্যাচগুলো ডাম্বুলা এবং পাল্লেকেলেতে অনুষ্ঠিত হবে।