গাজা এবং লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরালের বিমান বাহিনী হিজবুল্লার প্রায় ১৮৫টি এবং হামাসের ৪৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ভবন, রকেট লঞ্চার এবং হামাস ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
এদিকে মধ্য গাজায় ইসরায়েলের হামলায় পাঁচ শিশু এবং দুই নারীসহ কমপক্ষে আরও ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী পরিকল্পিতভাবে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অঞ্চলটি খালি করার জন্য কাজ করছে। সেখানে বেসামরিকরা বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজার বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গত এক বছরে গাজায় ৪১ হাজার ৯৬৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৭ হাজার ৫৯০ জন। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
এছাড়া ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু লেবাননকে সতর্ক করেছেন যে, এটি ‘গাজার মতো ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি হতে পারে’। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে যে, সোমবার সারাদেশে ৩৬ জন নিহত এবং আরও ১৫০ জন আহত হয়েছে।
নেতানিয়াহু লেবাননের জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছেন, তারা যেন গাজার মতো ধ্বংস ও দুর্ভোগ এড়াতে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে বিতাড়িত করে। ইসরায়েল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে তাদের চলমান স্থল অভিযানের ব্যাপকতা আরও বৃদ্ধির পর মঙ্গলবার নেতানিয়াহু এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
লেবাননের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের নতুন একটি স্থানে আরও হাজার হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে ইসরায়েল। নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) অর্থাৎ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী হিজবুল্লাহর সাবেক নেতা হাসান নাসরাল্লাহর উত্তরসূরিকে হত্যা করেছে। তবে পরবর্তীতে আইডিএফ বলেছে যে, তারা হাশেম সাফিয়েদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি। হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা টানা তিনদিন ধরে ইসরায়েলের বন্দর নগরী হাইফার দিকে রকেট নিক্ষেপ করছে। এতে করে ১২ জন আহত হয়েছে।