সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেটা আবার হত্যা মামলা। ছাত্র জনতার আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে গত ৫ আগস্ট রাজধানী ঢাকার আদাবরে পোশাক কারখানার কর্মী মোহাম্মদ রুবেল হত্যার ঘটনায় তার পিতা রফিকুল ইসলামের করা মামলায় সাকিবকে আসামি করা হয়।
ছাত্র জনতার কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তীতে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দাবির আন্দোলনে পোশাক কারখানার কর্মী রুবেল গুলিবিদ্ধ হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সেই মামলায় জাতীয় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান অভিযুক্ত আসামি।
আজ শনিবার সাকিবকে পাকিস্তান সফর থেকে দেশে ফেরত আনার জন্য লিগ্যাল নোটিশও প্রেরণ করা হয়েছে। এই লিগ্যাল নোটিশ প্রদানের পর ক্রিকেট পাড়ায় সবার কৌতূহলী প্রশ্ন, কী হবে সাকিবের? সাকিবের বিষয়ে কী ভাবছে বিসিবি? তাকে কি পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের কাছে সোপর্দ করা হবে? এসব প্রশ্নও অনেকের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
এদিকে সাকিবের বিষয়ে আজ শনিবার বিসিবি অফিসে পরিচালকদের নিয়ে বসেছিলেন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ। নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা শেষে বিসিবি প্রধান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে যা বলেছেন; তার সারমর্ম হলো, বিসিবি এখনও লিগ্যাল নোটিশ পায়নি। তাই ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তা করেনি।
সাকিবকে এখনই দেশে ফিরিয়ে আনার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামীকাল রোববার রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট ম্যাচ শেষ হলে এ ব্যাপারে ভাবা হবে বলে জানান ফারুক। তার মানে আজকালের মধ্যেই সাকিবকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে না।
বিসিবি প্রধান বলেন, ‘আপনি জানেন একটা মামলা হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশটা আমরা পাইনি এখনও, ওটার ব্যাপারে বলতে পারবো না। মামলাটা এফআইআর হয়েছে, এফআইআরের পরে তদন্ত হবে। তারপরে একটা দিকে যাবে মামলাটা। এই মুহূর্তে যেহেতু টেস্ট ম্যাচ চলছে, কাল টেস্টের পঞ্চম দিন, এই মুহূর্তে তাকে ফিরিয়ে আনা যায় না।’
ফারুক যোগ করেন, ‘এফআইআর দায়ের যখন হয়, এটার বিরুদ্ধে কিন্তু চার্জ গঠন হয়নি। এর আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন। গত বেশ কিছুদিন এর আগে বিশাল গণ্ডগোল হয়েছে, অনেক প্রাণ গেছে। সহমর্মিতা এখনও আছে আমাদের। আমরা কিন্তু ভুলে যাইনি। এই মুহূর্তে টেস্ট ম্যাচ চলছে। বিসিবির সঙ্গে সাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক খেলোয়াড় এবং এমপ্লয়ী বলতে পারেন। কালকের দিনের পর দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।’
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের শেষ কথা, ‘এখন খেলতে বাধা নেই। ম্যাচের মাঝখানে তো আনা সম্ভব নয়।’