অবশেষে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টার ইভান গারশকোভিচসহ তিন মার্কিনি দেশে ফিরলেন। রাশিয়ার সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তিতে মুক্তি পেয়েছেন তারা। তুরস্কের মধ্যস্থতায় এই বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় রাশিয়ার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ১৬ জন। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ১০ জন। মুক্তির পর বন্দিদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
স্নায়ুযুদ্ধের পর রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় বন্দিবিনিময়ের ঘটনা। তুরস্কের একটি এয়ারফিল্ডে বিনিময়ে প্রাক্তন মার্কিন মেরিন পল হুইলান এবং রাশিয়ান-আমেরিকান সাংবাদিক আলসু কুরমাশেভার মুক্তিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আজ, তিন মার্কিন নাগরিক এবং একজন আমেরিকার গ্রিন কার্ডধারী যারা অন্যায়ভাবে রাশিয়ায় বন্দি হয়েছিলেন তারা অবশেষে দেশে ফিরেছেন। মুক্তি পেয়ে পল হুইলান, ইভান গারশকোভিচ, আলসু কুরমাশেভা এবং ভ্লাদিমির কারা-মুর্জা দেশের মাটিতে পা রাখেন।
রাশিয়ার কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়া ১৬ জনের মধ্যে বাকি পাঁচজন জার্মান ও সাতজন রাশিয়ার ভিন্নমতাবলম্বী রাজনীতিবিদ রয়েছেন। এদিকে এই বন্দিবিনিময়কে কূটনৈতিক সফলতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাইডেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, অন্যায়ভাবে রাশিয়ায় আটক থাকা এই বন্দিরা অবশেষে বাড়িতে পৌঁছাচ্ছেন।
অপরদিকে তুরস্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ১০ বন্দির মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। এসব বন্দি যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, স্লোভেনিয়া, পোল্যান্ড এবং জার্মানির কারাগারে ছিল। তাদের এখন রাশিয়ায় পাঠানো হবে।
এদিকে ইভান গারশকোভিচের মুক্তির বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (ডব্লিউএসজে)। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
এক বিবৃতিতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, ‘আমরা স্বস্তি অনুভব করছি এবং ইভান ও তার পরিবারের জন্য আমরা উচ্ছ্বসিত। তবে দুর্ভাগ্যবশত অন্যায়ভাবে রাশিয়া এবং বিশ্বের অন্যান্য স্থানে অনেক সাংবাদিক বন্দী রয়েছেন।