
সিরিজ আগেই হাতছাড়া হয়ে গেছে। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য কেবল মানরক্ষার। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে অবশ্য ৬ উইকেটে ১৯৬ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহই দাঁড় করিয়েছে টাইগাররা। অর্থাৎ জিততে হলে পাকিস্তানকে করতে হবে ১৯৭।
লাহোরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৬ রানে যদিও ক্যাচ তুলে জীবন পান তানজিদ তামিম। হাসান আলির বলে বাউন্ডারিতে কঠিন ক্যাচটি ধরতে পারেননি ফাহিম আশরাফ।
অন্যদিকে পারভেজ হোসেন ইমন চালিয়ে খেলতে থাকেন। তার মারকুটে ব্যাটিংয়ে ৫.৩ ওভারেই পঞ্চাশ পার করে বাংলাদেশ। তানজিদ তামিমের সঙ্গে পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে ৫৩ রান তুলে দেন ইমন।
শেষ পর্যন্ত ৭০ বলে ১১০ রানের ওপেনিং জুটিটা ভাঙে তামিমের আউটে। ৩২ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৪২ করে ফাহিম আশরাফের শিকার হন এই ওপেনার। পরের ওভারেই শাদাব খানকে উইকেট দেন ইমন। ৩৪ বলে ইমনের ৬৬ রানের ইনিংসে ছিল ৭ চার আর ৪ ছক্কার মার।
ক্রিজে এসেই হাত খুলে খেলা শুরু করেন তাওহিদ হৃদয়। তবে লিটন দাস আরও একবার ব্যর্থ। ১৮ বলে ২২ রানের ওয়ানডে ঘরানার ইনিংস খেলে হাসান আলির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
আব্বাস আফ্রিদির করা ১৮তম ওভারে তিন বলের ব্যবধানে সাজঘরের পথ ধরেন শামীম পাটোয়ারী আর হৃদয়। শামীম ৪ বলে ৮ আর হৃদয় করেন ১৮ বলে ২৫। মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হন ৩ বলে ১ করে।
শেষদিকে জাকের আলী ৯ বলে ১৫ আর তানজিম সাকিব ৩ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।