ভারতের মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী ও ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১২ অক্টোবর)) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তার অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে শোকাহত পুরো বলিউড। ভেঙে পড়েছেন ভাইজান খ্যাত অভিনেতা সালমান খান।
প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি নিহত হন আততায়ীর গুলিতে। এ খবর শোনার পরই ‘বিগ বস ১৮’-র শুটিং বাতিল করে লীলাবতী হাসপাতালে ছুটে যান সালমান খান।
এনডিটিভির খবরে, বান্দ্রায় তিন অজ্ঞাত আততায়ীর গুলিতে সিদ্দিকির মৃত্যু হয়। তাকে অবিলম্বে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে সালমানকে বাবা সিদ্দিকির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে লীলাবতী হাসপাতালে আসতে দেখা যায়।
কিন্তু এ সময় তার হাসপাতালে যাওয়া কতটা নিরাপদ, সে প্রশ্নও তোলা হয়। কারণ সালমানও রয়েছেন হুমকির মুখে। বাবা সিদ্দিকির ওপর হামলার ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বলিউডে।
বাবা সিদ্দিকি মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং সালমান খান এবং শাহরুখ খানসহ অন্যান্য বলিউড তারকাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্য সুপরিচিত ছিলেন। তিনি দুই সুপারস্টারের রাগ ভাঙাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, যাদের প্রায় এক দশক আগে ভয়াবহ দ্বন্দ্ব ছিল।
দুই তারকা, ২০০৮ সালে অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের জন্মদিনের পার্টিতে তর্কে মাধ্যমে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায় দুজনের। অবশেষে বাবা সিদ্দিকির বার্ষিক ইফতার পার্টিতে একে অপরের সাথে দেখা হয়। তাদের আগের সব রাগ অভিমান ভাঙতে সাহায্য করেন এই নেতা। সেই মুহূর্তের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ নেতাকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সালমান ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন সঞ্জয় দত্ত, সপরিবার শিল্পা শেঠিসহ বলিউডের তারকারা। সংবাদমাধ্যমের ভিডিওতে দেখা গেছে, শিল্পা হাসপাতালের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।
বাবা সিদ্দিকি তিন মেয়াদে পশ্চিম বান্দ্রার বিধায়ক ছিলেন। ৪৮ বছর ধরে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দল ছেড়ে অজিত পাওয়ারের এনসিপিতে যোগ দিয়েছিলেন। গত আগস্ট মাসে তার ছেলে জিশান সিদ্দিকিকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয়।