লেবাননে ইসরায়েলের নতুন হামলায় আরও অন্তত ৭২ জন নিহত এবং চার শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এর ফলে দেশটিতে ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা ৬২০ জন ছাড়িয়েছে। লেবানিজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
লেবানিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশটিতে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বোমা হামলার জেরে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
এতদিন কেবল আকাশপথে হামলা চালালেও এবার লেবাননে স্থল অভিযানেরও হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। লেবানিজ সীমান্তে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে একটি ‘সম্ভাব্য’ স্থল অভিযানের জন্য ইসরায়েলি সৈন্যদের প্রস্তুত থাকতে বলেছেন দেশটির সামরিক প্রধান হের্জি হালেভি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য একটি ‘পূর্ণ মাত্রার বিপর্যয়’ দেখা দিয়েছে। তেহরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইসরায়েল যদি সংঘাত বাড়ায় তবে ইরান ‘সব উপায়ে’ লেবাননকে সমর্থন করবে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এক ভাষণে সংস্থাটির প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, লেবানন ‘আরেকটি গাজা হতে পারে না’। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ফ্রান্সের ইউরোপ ও পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারোট ইউএনএসসি’কে বলেছেন, তারা ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছেন।
গত সপ্তাহে লেবাননে একের পর এক পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে কয়েক ডজন নিহত ও হাজার হাজার মানুষ আহত হন। এর পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
তবে ওই ঘটনার কয়েকদিন যেতে না যেতেই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলসহ রাজধানী বৈরুতের কাছে সরাসরি হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
জবাবে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েকশ রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। যদিও এর বেশিরভাগেই ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা বলেছে, গত মঙ্গলবার ইসরায়েলের দিকে প্রায় ৩০০ রকেট ছুড়েছে লেবানিজ গোষ্ঠীটি। এতে মাত্র ছয়জন আহত হয়েছেন।